Thursday, August 4, 2011

ওঁ সামবেদ - প্রথম অধ্যায়ঃ পুর্বার্চিকঃ ছন্দ আর্চিকঃ আগ্নেয় কান্ডঃ অগ্নিস্তুতি


প্রথম খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০ ৷৷ মন্ত্রের দেবতা অগ্নি ৷৷ মন্ত্রের ছন্দ গায়ত্রী ৷৷ মন্ত্রের ঋষিঃ ১।২।৪।৭।৯ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য; ৩ মেধাতিথি কান্ব; ৫ তশনা কাব্য; ৬ সুদীতি পুরুমীঢ় আঙ্গিরস; ৮ বৎস কান্ব; ১০ বামদেব ৷৷

মন্ত্রঃ- (০১) অগ্ন আ যাহি বীতয়ে গৃণানো হব্যদাতয়ে। নি হোতা সৎসি বর্হিষি ৷৷ ১ ৷৷

অর্থঃ- (০১) হে অগ্নি, আনন্দের জন্য এস; স্তবযুক্ত হয়ে দেবলোকে আহূতিভার বহনের জন্য এস; হে দেবগণের আহ্বাতা; যজ্ঞাসনে উপবেশন কর।।


মন্ত্রঃ- (০২) ত্বমগ্নে যজ্ঞানাং হোতা বিশ্বেষাং হিতঃ। দেবেভির্মানুষে জনে ৷৷ ২ ৷৷
অর্থঃ- (০২) তুমি হে অগ্নি, সকল যজ্ঞের হোতা। দেবতাদের সঙ্গে যুক্তভাবে প্রতি মানুষে, প্রতি জীবে হিতকারী।


মন্ত্রঃ- (০৩) অগ্নিং দূতং বৃণীমহে হোতারা বিশ্ববেদসম্। অস্য যজ্ঞস্য সুক্রতুম্ ৷৷ ৩ ৷৷
অর্থঃ- (০৩) এই যজ্ঞের সকর্মা (মঙ্গলসম্পাদক), দেবগণের দূত, হোতা, বিশ্বধন অগ্নিকে বরণ করি।


মন্ত্রঃ- (০৪) অগ্নির্বৃত্রাণি জঙ্ঘনদ্ দ্রবিণস্যুর্বিপন্যয়া। সমিদ্ধঃ শুক্র আহূতঃ ৷৷ ৪ ৷৷
অর্থঃ- (০৪) আবরকশক্তিকে পুনঃ পুনঃ বিনাশের জন্য অগ্নি মেধাশক্তি দ্বারা সতত গমনস্বভাবযুক্ত। তিনি প্রাণসন্দীপ্ত, জয়োতিস্মান্ , সকল কামনায় আহূত।


মন্ত্রঃ- (০৫) প্রেষ্ঠং বো অতিথিং স্তুষে মিত্রমিব প্রিয়ম্। অগ্নে রথং ন বেদ্যম্ ৷৷ ৫ ৷৷
অর্থঃ- (০৫) প্রিয়তম অতিথিকে, মিত্রের ন্যায় প্রিয় অগ্নিকে তোমাদের জন্য তোষণ করি। হে অগ্নি, তুমি সূর্যের  মত জ্ঞেয়।


মন্ত্রঃ- (০৬) ত্বং নো অগ্নে মহোভিঃ পাহি বিশ্বস্যা অরাতেঃ। উত দ্বিষো মর্ত্যস্য ৷৷ ৬ ৷৷
অর্থঃ- (০৬) তুমি আমাদের, হে অগ্নি মহাধনে পালন কর। সকল শত্রু হতে আর মর্ত্যের দ্বেষ হতে রক্ষা কর।


মন্ত্রঃ- (০৭) এহ্যূ ষু ব্রবাণি তেহগ্ন ইত্থেতরা গিরঃ। এভির্বর্ধাস ইন্দুভিঃ ৷৷ ৭ ৷৷
অর্থঃ- (০৭) এস হে অগ্নি, তোমাকে এ ভাবেই স্তুতি করবো। এ ভাবেই সকল যজ্ঞের দ্বারা তুমি বর্ধিত হও।


মন্ত্রঃ- (০৮) আ তে বৎসো মনো যমৎ পরমাচ্চিৎ সধস্থাৎ।  অগ্নে ত্বাং কাময়ে গিরা ৷৷ ৮ ৷৷
অর্থঃ- (০৮) এস হে অগ্নি পরমলোক থেকে। বৎস ঋষি তোমাকে কামনা করে স্তবমালায় তোমার মন আকর্ষণ করে।


মন্ত্রঃ- (০৯) ত্বামগ্নে পুস্করাদধ্যথর্বা মূর্ধ্নো বিশ্বস্য বাঘতঃ ৷৷ ৯ ৷৷
অর্থঃ- (০৯) তোমাকে, হে অগ্নি, স্বকর্মে অবিচল আদিত্য (=অথর্ব) যিনি বিশ্বের ঋত্বিক, তিনি শীর্ষে অবস্থান করে অন্তরিক্ষ হতে মন্থন করে আনেন।


মন্ত্রঃ- (১০) অগ্নে বিবস্বদা ভরাস্মভ্যমূতয়ে মহে। দেবো হ্যসি নো দৃশে ৷৷ ১০ ৷৷
অর্থঃ- (১০) হে অগ্নি, তমোনাশক তুমি, আমাদের পালনের জন্য মহাধন আন আর আমাদের দর্শনের জন্য তুমিই দেবতা।


দ্বিতীয় খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।। মন্তের দেবতা অগ্নি।। মন্তের ছন্দ গায়ত্রী।। মন্তের ঋষিঃ ১ আয়ুঙ্ ক্ষ্বাহি, বিরূপা আঙ্গিরস, ২ বামদেব গৌতম, ৩।৮।৯ প্রয়োগ ভার্গব, ৮ মধুচ্ছন্দা বৈশ্বামিত্র, ৫।৭ শূ্নঃশেপ আজীগর্তি, ৬ মেধাতিথি কান্ব, ১০ বৎস কান্ব।।

মন্ত্রঃ- (১১) মনস্তে অগ্ন ওজসে গৃণন্তি দেব কৃষ্টয়ঃ। অমৈরমিত্রমর্দয় ।।১।।
অর্থঃ- (১১) হে অগ্নি, মানুষেরা ওজঃশক্তির জন্য নত হয়ে তোমার স্তব করে। হে দেব, বলপ্রভাবে অমিত্রকে (=শত্রুকে) পীড়িত কর।।

মন্ত্রঃ- (১২) দূতং বো বিশ্ববেদসং হব্যবাহমমর্ত্যম্। যজিষ্ঠমৃঞ্জসে গিরা ।।২।।
অর্থঃ- (১২) হে জনগণ, তোমাদের মঙ্গলের জন্য দেবদূত বিশ্বধন হব্যবাহী অমৃত যাজ্ঞিকশ্রেষ্ঠ অগ্নিকে স্তবের দ্বারা শোভিত কর।।

মন্ত্রঃ- (১৩) উপ দ্বা জাময়ো গিরো দেদিশতীর্হবিষ্কৃতঃ। বায়োরনীকে অস্থিরন্ ।।৩।।
অর্থঃ- (১৩) হে অগ্নি, যজ্ঞনিস্পাদকের বারবার উচ্চারিত দীপ্ত স্তবমালা তোমাকে প্রাপ্ত হবার জন্য মুখ্যপ্রাণ বায়ুর নিকটে অবস্থান করে।।

মন্ত্রঃ- (১৪) উপ ত্বাগ্নে দিবে দিবে দোষাবস্তর্ধিয়া বয়ম্। নমো ভরন্ত এমসি ।।৪।।
অর্থঃ- (১৪) হে তমোনাশক অগ্নি, প্রতিদিন আমরা প্রজ্ঞাদ্বারা নত হয়ে নমস্কার করতে করতে তোমাকেই কাছে পাই।।

মন্ত্রঃ- (১৫) জরাবোধ তদ্বিবিড্ ঢি বিশেবিশে যজ্ঞিয়ায়। স্তোমং রুদ্রায় দৃশীকম্ ।।৫।।
অর্থঃ- (১৫) হে স্তুতিদ্বারা প্রবুদ্ধ অগ্নি, ভিন্ন ভিন্ন মানুষের প্রয়োজনে যজ্ঞযোগ্য রুদ্রের উদ্দেশ্যে যে অলোকসামান্য স্ত্রোত্র তা তুমিই জান।।

মন্ত্রঃ- (১৬) প্রতি ত্যং চারুমধ্বরং গোপীথায় প্র হূয়সে। মরুদ্য ভিরগ্ন আ গহি ।।৬।।
অর্থঃ- (১৬) আমাদের রক্ষণের জন্য যে শোভন যজ্ঞে তুমি আহূথ হও সেখানে তুমি হে অগ্নি, সকল প্রাণশক্তির সঙ্গে এস।।

মন্ত্রঃ- (১৭) অশ্বং ন ত্বা বারবন্তং বন্দধ্যা অগ্নিং নমোভিঃ। সম্রাজন্তমদ্বরাণাম্ ।।৭।।
অর্থঃ- (১৭) সকল যজ্ঞের সম্রাট্ অশ্বপুচ্ছের মত শিখাবিশিষ্ট অগ্নি তোমাকে নমস্কারের দ্বারা বন্দনা করতে প্রবৃত্ত হই।।

মন্ত্রঃ- (১৮) ঔর্বভৃণ্ডবচ্ছুচিমপ্নবানবদা হুবে। অগ্নিং সমুদ্রবাসসম্ ।।৮।।
অর্থঃ- (১৮) পৃথিবীজাত অগ্নিশিখাসম্ভূত রূপবানের ন্যায় অন্তিরিক্ষে নিবাসকারী শুচি অগ্নিকে সকল দিক হতে আহ্বান করি।।

মন্ত্রঃ- (১৯) অগ্নিমিন্ধানো মনসা ধিয়ং সচেত মর্ত্যঃ। অগ্নিমিন্ধে বিবস্বভিঃ ।।৯।।
অর্থঃ- (১৯) মর্ত্যের মানুষ অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে মনের সহায়তায় কর্মে মিলিত হয়; জ্ঞানের দ্বারাও অগ্নিদেবকে প্রজ্বালিত করে।।

মন্ত্রঃ- (২০) আদিৎ প্রত্নস্য রেতসো জ্যোতি পশ্যন্তি বাসরম্। পরো যদিধ্যতে দিবি ।।১০।।
অর্থঃ- (২০) ঊর্ধ্বে দ্যুলোকে যা দীপ্তিলাভ করে তা স্বর্গীয় বারি হতে জ্যোতি আহরণ করে দিনের আলো দেখে।।


তৃতীয় খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১৪।। মন্তের দেবতা অগ্নি।। ছন্দ গায়ত্রী।। মন্ত্রের ঋষিঃ ১ প্রয়োগ ভার্গব; ২।৫ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য; ৩।১০ বামদেব গৌতম; ৪।৬ বসিষ্ঠ মেত্রাবরুণি; ৭ বিরূপ আঙ্গিরস; ৮ শূনঃশেপ আজীগর্তি; ৯ গোপবন আত্রেয়; ১১ প্রস্কন্ব কান্ব; ১৩ সিন্ধুদ্বীপ আন্বরীষ বা ত্রিত আপ্ত্য; ১৪ উশনা কাব্য।।

মন্ত্রঃ- (২১) অগ্নিং বো বৃধন্তমধ্বরাণাং পুরুতমম্। অচ্ছা নপ্ত্রে সহস্বতে।।১।।
অর্থঃ- (২১) তোমাদের সন্তানের জন্য, বলের জন্য অহিংসিত যজ্ঞের বধর্নকারী অতিব্যাপ্ত অগ্নিকে প্রাপ্ত হও।

মন্ত্রঃ- (২২) অগ্নিস্তিগ্মেন শোচিষা যংসদ্বিশ্বং ন্যত্ত্রিণম্। অগ্নির্নো বৎসতে রয়িম্।।২।।
অর্থঃ- (২২) অগ্নি তীকশ্ন জ্যোতিশিখাদ্বারা বিশ্বধন নিয়ন্ত্রণ করেন। অগ্নি আমাদের ধনদাতা।।

মন্ত্রঃ- (২৩) অগ্নে মৃড় মহাঁ অস্যয আ দেবয়ুং জনম্। ইয়েথ বর্হিরাসদম্।।৩।।
অর্থঃ- (২৩) হে অগ্নি, আমাদের সুখী কর; তুমি মহান। দেবকাম ব্যক্তিকে অনুগ্রহের জন্য যজ্ঞাসনে উপবেশন কর।।

মন্ত্রঃ- (২৪) অগ্নে রক্ষা ণো অংহসঃ প্রতি স্ম দেব রীষতঃ। তপিষ্ঠৈরজরো দহ।।৪।।
অর্থঃ- (২৪) হে অগ্নি, আমাদের পাপ হতে রক্ষা কর। হে দেব, হিংসকদের হাত থেকে রক্ষা কর। তোমার তপের তাপে স্তুতিহীনদের দহন কর।।

মন্ত্রঃ- (২৫) অগ্নে যুঙ্ ক্ষ্বা হি যে তবাশ্বাসো দেব সাধবঃ। অরং বহন্ত্যাশবঃ।।৫।।
অর্থঃ- হে অগ্নি, তোমার যে সকল সৎকর্মপরায়ণ আলোকরশ্মিদের নিজরথে যুক্ত কর যে ক্ষিপ্রকর্মকুশলেরা তোমাকে সর্বত্র বহন করে।।

মন্ত্রঃ- (২৬) নি ত্বা লক্ষ্য বিশ্ পতে দ্যুমন্তং ধীমহে বয়ম্। সুধীরমগ্ন আহুত।।৬।।
অর্থঃ- (২৬) তোমার প্রতি গমনশীল আমরা, হে জনগণপালক সুবীর আহূত অগ্নি, দীপ্যমান তোমাকেই ধ্যান করি।।

মন্ত্রঃ- (২৭) অগ্নির্মুর্ধা দিবঃ ককুৎপতিঃ পৃথিব্যা অয়ম্। অপাং রেতাংসি জিনবতি।।৭।।
অর্থঃ- (২৭) অগ্নি দ্যুলোকের মস্তক, এক পৃথিবীরও শীর্ষস্থানীয়। তিনি বারিধারায় সকলকে প্রীত করেন।।

মন্ত্রঃ- (২৮) ইমমু ষু ত্বম্ স্মাকং সনিং গায়ত্রং নব্যাংসম্। অগ্নে দেবেষু প্র বোচঃ।।৮।।
অর্থঃ- (২৮) হে অগ্নি, গায়ত্রীছন্দে রচিত নবতর স্তুতি আমাদের এ উপহার তুমি দেবগণের মধ্যে প্রচার কর।।

মন্ত্রঃ- (২৯) যং ত্বা গোপবনো গিরা জনিষ্ঠদগ্নে অঙ্গিরঃ। স পাবক শ্রুধী হবম্।।৯।।
অর্থঃ- (২৯) যে তোমাকে গোপবন ঋষি স্তবে তুষ্ট করলো সেই তুমি হে অগ্নি, হে অঙ্গির, হে পাবক, আমাদের আহ্বান শোন।।

মন্ত্রঃ- (৩০) পরি বাজপতিঃ কবিরগ্নির্হব্যান্যক্রমীৎ। দধদ্ রত্নানি দাশুষে।।১০।।
অর্থঃ- (৩০) অন্নবলপতি কবি অগ্নি সকল হব্য বহন করেন; হব্যদাতার জন্য রত্নধারণ করেন।।

মন্ত্রঃ- (৩১) উদূ ত্যং জাতবেদসং দৈবং বহন্তি কেভবঃ। দৃশে বিশ্বায় সূর্যমা।।১১।।
অর্থঃ- (৩১) যিনি প্রাণিমাত্রকেই জানেন সেই সূর্যরূপী অগ্নিদেবকে বিশ্বের দর্শনের জন্য রশ্মিগণ ঊর্ধ্বে বহন করেন।।

মন্ত্রঃ- (৩২) কবিমগ্নিমুপ স্তুহি সত্যধর্মাণমধ্বরে। দেবমমীবচাতনম্।।১২।।
অর্থঃ- (৩২) হে স্তোতা, অহিংসিত যজ্ঞে কবি সত্যধর্মা ব্যাধিনাশক দ্যোতমান অগ্নিকে স্তব কর।।

মন্ত্রঃ- (৩৩) শং নো দেবীরভিষ্টয়ে শং নো ভবন্তু পীতয়ে। শং যোরভিস্রবন্তু নঃ।।১৩।।
অর্থঃ- (৩৩) আমাদের অভিলাষ পূরণের জন্য আমাদের সুখকর পালনের জন্য সকল জলদা-শক্তি কল্যাণবারি বর্ষণের দ্বারা আমাদের সুখী করেন।।

মন্ত্রঃ- (৩৪) কস্য নূনং পরীণসি ধিয়ো জিন্বসি সৎপতে। গোষাতা যস্য তে গিরঃ।।
অর্থঃ- (৩৪) কার বহুকর্মকে পুরণ কর হে সৎপতি? - তোমার উদ্দেশ্যে যার স্তুতি সর্বধনকর।।

চতুর্থ খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।। দেবতা অগ্নি।। ছন্দ বৃহতী।। মন্তের ঋষিঃ ১।৩।৭ শংযু বার্হস্পত্য, তৃণপাণি; ২।৫।৮।৯ ভর্গ প্রাগাথ, বশিষ্ঠ মৈত্রাবরুণি; ৬ প্রস্কন্ব কান্ব, ১০ সৌভরি কান্ব।।

মন্ত্রঃ- (৩৫) যজ্ঞাযজ্ঞা বো অগ্নয়ে গিরাগিরা চ দক্ষসে। প্রপ্র বয়মমৃতং জাতবেদসং প্রিয়ং মিত্রং ন শংসিষম্।।১।।
অর্থঃ- (৩৫) যজ্ঞে যজ্ঞে মন্ত্রে মন্ত্রে তোমাদের জন্য আমরা অমৃতসমান, সর্বজ্ঞ, প্রিয়, মিত্র, প্রশংসনীয় অগ্নির উদ্দেশ্যে সেই পবিত্রবলের উদ্দেশ্যে স্তব করি।।

মন্ত্রঃ- (৩৬) পাহি নো অগ্র একয়া পাহ্যূতত দ্বিতীয়রা। পাহি গীর্ভিস্তিসৃভিরূর্জাম্পতে পাহি চতসৃভির্বসো।।২।।
অর্থঃ- (৩৬) হে অগ্নি, আমাদের প্রথমের দ্বারা ( - ঋগ্বেদের দ্বারা পালন কর। আমাদের দ্বিতীয়ের দ্বারা ( - যজূর্বেদের দ্বারা) পালন কর; হে বলপতি, আমাদের তৃতীয় স্তবমালার দ্বারা ( - সামবেদের দ্বারা) পালন কর; হে ধনী, আমাদের চতুর্থের দ্বারা ( - অথর্ববেদের দ্বারা) পালন কর।।

মন্ত্রঃ- (৩৭) বৃহদ্ভিরগ্নে অর্চিভিঃ শুক্রেণ দেব শোচিষা। ভরদ্বাজে সমিধানো যবিষ্ঠা রেবৎপাবক দীদিহি।।৩।।
অর্থঃ- (৩৭) হে অগ্নি, প্রবল দীপ্তিসহায়ে, হে দেব, শুভ্রজ্যোতি সহায়ে যেমন ভরদ্বাজের কাছে সন্দীপ্ত হও তেমনি হে চিরযুবা, ধনাধীশ, হে পাবক, আমার কাছে প্রকাশিত হও।।

মন্ত্রঃ- (৩৮) ত্বে অগ্নে স্বাহূত প্রিয়াসঃ সন্তু সূরয়ঃ। যন্তারো যে মঘবানো জনানামুর্বং দয়ন্ত গোনাম্।।৪।।
অর্থঃ- (৩৮) সুষ্ঠরূপে আহূত হে অগ্নি, শ্রেষ্ঠদের মধ্যে তাঁরাই তোমার প্রিয় যাঁরা ধনের নিয়ামক হয়ে মানুষ ও পশুর মধ্যে তোমার সম্পদ সম্যক বিভাগ করে দেন।।

মন্ত্রঃ- (৩৯) অগ্নে জরিতর্বিশ্ পপতিস্তপানো দেব রক্ষসঃ। অপ্রোষিবান্ গৃহপতে মহাঁ অসি দিবস্পায়ুর্দুরোণষুঃ।।৫।।
অর্থঃ- (৩৯) হে অগ্নি, হে স্তুত্য, হে জনগণপতি, হে দুষ্টসন্তাপক, হে দেব, হে অচঞ্চল গৃহপতি, তুমি মহান্, দ্যুলোকের পালক, তুমি গৃহপালনের অভিলাষী।।

মন্ত্রঃ- (৪০) অগ্নে বিবস্বদুষশ্চিত্রং রাধো অমর্ত্য। আ দাশষে জাতবেদো বহা ত্বমদ্যা দেবাঁ ঊষবুর্ধঃ।।৬।।
অর্থঃ- (৪০) হে অগ্নি, তমোনাশক তুমি; নিয়ে এস তার জন্য ঊষা হতে বিচিত্র সর্বার্থধন যে তোমাকে চায়; হে অমর্ত্য, হে জাতপ্রজ্ঞান, আজ আন সেই দেবদের যাঁরা ঊষাকালে জাগরিত।।

মন্ত্রঃ- (৪১) ত্বঃ নশ্চিত্র ঊত্যা বসো রাধাংসি চোদয়। অস্য বায়স্তমগ্নে রথীরসি বিদা গাধং তুচে তু নঃ।।৭।।
অর্থঃ- (৪১) হে বিচিত্রধন অগ্নি, আমাদের পালন ইচ্ছা করে সর্বার্থসাধক ধন দান কর; হে অগ্নি, এ ধনের তুমিই চালক যা আমাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করবে।

মন্ত্রঃ- (৪২) ত্বমিৎ সপ্রথা অস্যগ্নে ত্রাতর্ঋতঃ কবিঃ। ত্বাং বিপ্রাসঃ সমিধান দীদিব আ বিবাসন্তি বেধসঃ।।৮।।
অর্থঃ- (৪২) তুমিই সর্বত্র বিস্তৃত হও হে অগ্নি, তুমিই ত্রাতা, তুমিই ঋত (সত্য), তুমিই কবি; হে দেদীপ্যমান, তোমাকে জ্ঞানবৃদ্ধ স্তোতাগণ, সর্বত্র পরিচর্যা করেন।।

মন্ত্রঃ- (৪৩) আ নো অগ্নে বয়োবৃধং রয়িং পাবক শংস্যম্। রাস্বা চ ন উপমাতে পুরুস্পৃহং সুনীতি সুযশস্তরম্।।৯।।
অর্থঃ- (৪৩) হে অগ্নি, আমাদের জন্য আয়ুকারক প্রশংসনীয় ধন আন; হে পাবক, হে কাছের দেবতা, সুনীতিযুক্ত সুযশ বহস্পৃহ ধন দাও।।

মন্ত্রঃ- (৪৪) যো বিশ্বা দয়তে বসু হোতা মন্দ্রো জনানাম্। মঘোর্ন পাত্রা প্রথমান্যস্মৈ প্র স্তোমা যন্ত্বগ্নয়ে।।১০।।
অর্থঃ- (৪৪) যিনি বিশ্বধন, বসু, হোতা, জনগণের আনন্দদায়ক, সেই অগ্নির উদ্দেশ্যে সব স্তুতিমন্ত্র মধুপূর্ণ পাত্রের মত যাচ্ছে।।

পঞ্চম খণ্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।। দেবতা অগ্নি।। ৮ ইন্দ্র।। ছন্দ বৃহতী।। ঋষি - ১ বশিষ্ঠ মৈত্রাবরুণি; ২ ভর্গ প্রাগাথ; ৩।৭ সৌভরি কান্ব; ৪ মনু বৈবস্বতি; ৫ সুদীতিপুরমীঢ় আঙ্গিরস; ৬ প্রস্কন্ব কান্ব; ৮ কান্ব মেধাতিথি ও মেধ্যাতিথি; ৯ গাথি বিশ্বামিত্র; ১০ ঘৌর কন্ব।।

মন্ত্রঃ- (৪৫) এনা বো অগ্নিং নমসোর্জো নপাতমা হূবে। প্রিয়ং চেতিষ্ঠমরতিং স্বধ্বরং বিশ্বস্য দূতমমৃতম্।।১।।
অর্থঃ- (৪৫) তোমাদের জন্য বলপুত্র প্রিয় উত্তমচৈতন্য ভ্রমণশীল সুযজ্ঞ বিশ্বদূত অমৃতসমান অগ্নিকে স্তবের দ্বারা আহ্বান করি।।

মন্ত্রঃ- (৪৬) শেষে বনেষু মাতৃষু সং ত্বা মর্তাস ইন্ধতে। অতন্দো হব্যং বহসি হবিস্কৃত আদিদ্দেবেষু রাজসি।।২।।
অর্থঃ- (৪৬) হে অগ্নি, বনে মাতৃরূপা কাষ্ঠমধ্যে তুমি নিদ্রা যাও, মানুষেরা তোমাকে প্রজ্বালিত করে, তুমি হব্যদাতার হব্য অনলস অতন্দ্র হয়ে বহন করে থাক, তারপর দেবজ্যোতির মধ্যে দীপ্তিলাভ কর।।

মন্ত্রঃ- (৪৭) অদর্শি গাতুবিত্তমো যস্মিন্ ব্রতান্যাদধুঃ। উপো ষু জাতমার্যস্য বর্ধনমগ্নিং নক্ষন্তু নো গিরঃ।।৩।।
অর্থঃ- (৪৭) সকল পথের সন্ধান যিনি জানেন, যাঁর মধ্যে সকল ব্রত ধৃত আছে সেই অগ্নি দেখা দিলেন। আর্যগণের জন্য জাত জ্ঞানবৃদ্ধিকর অগ্নি আমাদের সকল স্তুতি গ্রহণ করুন।

মন্ত্রঃ- (৪৮) অগিরুক্ থে পুরোহিতো গ্রাবাণো বর্হিরধ্বরে। ঋচা যামি মরুতো ব্রহ্মণস্পতে দেবা অবো বরেণ্যম্।।৪।।
অর্থঃ- (৪৮) অগ্নি দ্যুলোকাগ্নির মধ্যে প্রধান, আকাশে মেঘের মধ্যে জলের সাথে বর্তমান। হে ব্রহ্মের পালক অগ্নি, প্রাণবায়ু মরুদগনের কাছে বর্ষমিরূপ বরণীয় পালন ঋক্ মন্ত্রের দ্বারা যাচ্ ঞা করি।

মন্ত্রঃ- (৪৯) অগ্নিমীড়িম্বাবসে গাথাভিঃ শীরশোচিষম্। অগ্নিং রায়ে পুরুমীঢ় শ্রুতং নরোহগ্নিঃ সুদীহয়ে ছর্দিঃ।।৫।।
অর্থঃ- (৪৯) যে পুরুমীঢ়, তেনু আত্মরক্ষার জন্য পবিত্র শিখা অগ্নিকে গাথাদ্বারা স্তর কর, খ্যাত অগ্নিকে ধনের জন্য স্তব কর, সুদীতির জন্য কামনা কর, অন্য লোকেও এইভাবে অগ্নিকে স্তব কর।

মন্ত্রঃ- (৫০) শ্রুাধ শ্রুৎকর্ণ বহ্নিভি-র্দেবৈরগ্নে সয়াবভিঃ। আসীদতু বর্হিষি মিত্রো অর্যমা প্রাতর্যাবভিরধ্বরে।।৬।।
অর্থঃ- (৫০) শোন হে অগ্নি, হে শ্রবণসমর্থ, আমার বচন; যে দেবেরা তোমার সঙ্গে হন্য বহন করেন তাঁদের নিয়ে এবং মিত্র অর্যমা ও প্রাতর্যাগে আগমনকারী অন্যদেবতাদের সঙ্গে নিয়ে এই অহিংসিত যজ্ঞে এসে যজ্ঞাসনে বোসো।

মন্ত্রঃ- (৫১) প্রে দৈবদাসো অগ্নির্দেব ইন্দ্রো ন মজ্ মনা। অনু মাতরং পৃথিবীং বি বাবৃতে তস্থৈ নাদন্য শর্মণি।।৭।।
অর্থঃ- (৫১) ইন্দের মত মলবাণ দৈবকর্মা অগ্নিদেব মাতা পৃথিবীকে আবৃত করে দ্যুলোকের আশ্রয়ে অবস্থিত থাকেন।

মন্ত্রঃ- (৫২) অধ মুমো অধ বা দিবো বৃহতো রোচনাদধি। অয়া বর্ধস্ব তন্বা গিরা মমা জাতা সুক্রতো পৃণ।।৮।।
অর্থঃ- (৫২) পৃথিবী হতে, দ্যুলোক হতে, অথবা বিশাল আলোকলোক হতে এস হে, সুক্রতু (সুকর্মা), আমার স্তুতিতে বেড়ে ওঠ, আমার সন্তানদের কামনা পূর্ণ কর।

মন্ত্রঃ- (৫৩) কায়মানো বনা ত্বং যন্মাতুরঞ্জগন্নপঃ। ন তত্তে অগ্নে প্রমৃষে নিবর্তনং যদ্ দূরে সন্নিথা ভুবঃ।।৯।।
অর্থঃ- (৫৩) হে অগ্নি, যখন তোমার নিজের উৎপত্তিস্থান বনকাষ্ঠমধ্যে ও সকলজীবের স্রষ্ট জলরাশিকে কামনা করে তাদের মধ্যে প্রবেশ কর তখন তুমি চিরতরে হারিয়ে যাও না তুমি আমাদের থেকে দূরে গেলেও আবার ফিরে আস।

মন্ত্রঃ- (৫৪) মি ত্বামগ্নে মনূর্দধে জ্যোতির্জনায় শশ্বতে। দীদেথ কন্ব ঋতজাত উক্ষিতো যং নমস্যন্তি কৃষ্টয়ঃ।।১০।।
অর্থঃ- (৫৪) জ্যোতিস্বরূপ্ তোমাকে হে অগ্নি, মানুষের হিতের জন্য সূর্যদেব সদাই ধারণ করেন; মেধাবী সত্যজাত সদা বর্ধমান তুমি দীপ্তিলাভ কর, যে তোমাকে মানুষেরা নমস্কার জানায়।

ষষ্ঠ খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ৮।। দেবতা অগ্নি, ২ ব্রহ্মণস্পতি; ৩ যূপকাষ্ঠ।। ছন্দ বৃহতী।। ঋষিঃ ১।৭ বসিষ্ঠ মৈত্রাবরুণি, ২।৩।৫ ঘৌর কন্ব, ৪ সৌভরি কান্ব, ৬ উৎকীল কাত্য, ৮ গাথি বিশ্বামিত্র।।

মন্ত্রঃ- (৫৫) দেবো বো দ্রবিণোদাঃ পূর্ণাং বিবষ্টবাসিচম্। উদ্বা সিঞ্চধ্বমুপ বা পৃণধ্বমাদিদ্বো দেব ওহতে।।১।।
অর্থঃ- (৫৫) দ্রবিণোদা দেব (=অগ্নিদেব) তোমাদের পূর্ণ ভক্তি কামনা করেন। তাঁকে প্রীত কর, ভক্তিরসে সিক্ত কর, তিনি তোমাদের ভার বহন করবেন।

মন্ত্রঃ- (৫৬) প্রৈতু ব্রহ্মণস্পতিঃ প্র দেব্যেতু সূনৃতা। অচ্ছা বীরং নর্যং পঙ্ ক্তিরাধসং দেবা যজ্ঞং নয়ন্তু নঃ।।২।।
অর্থঃ- (৫৬) বেদপালক ব্রহ্মণপতি অগ্নিদেব আসুন, প্রিয়সত্য বাগ্ দেবী আসুন; বীর্যপ্রদ নরহিতকর সর্বার্থক ধনযুক্ত যজ্ঞকে দেবগণ আমাদের কাছে আনুন।

মন্ত্রঃ- (৫৭) ঊর্ধ্ব ঊ ষু উতয়ে তিষ্ঠো দেবো ন সবিতা। ঊর্ধ্বো বাজস্য সনিতা যদঞ্জিভির্বাঘদ্ভির্বি হুয়ামহে।।৩।।
অর্থঃ- (৫৭) সবিতাদেব যেন ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের রক্ষা করেন তেমনি তুমি উন্নত থেকে আমাদের রক্ষক হও, অন্নবলদাতা হও, অন্নবলদাতা হও; তোমাকে বিদ্বান ঋতিক্ দের সহায়তায় আহবান জানাচ্ছি।

মন্ত্রঃ- (৫৮) প্র যো রায়ে নিনীষতি মর্তো যস্তে বসো দাশৎ। স বীরং ধত্তে অগ্নঃ উক্ থশংসিনং ত্মনা সহস্রপোষিণম্।।৪।।
অর্থঃ- (৫৮) হে আশ্রয়দাতা, যে মানুষ ধনের ইচ্ছা করে, যে তোমার উদ্দেশে দ্রব্য নিবেদন করে, হে অগ্নি, সে নিজে বীর ঈশ্বরপূজারী ও বহুজনের পালক হয়।

মন্ত্রঃ- (৫৯) প্র বো যহ্বং পুরুণাং বিশাং দেবয়তীনাম্। অগ্নিং সূক্তেভির্বচোভির্বৃণীমহে যং সমিদন্য ইন্ধতে।।৫।।
অর্থঃ- (৫৯) তোমাদের জন্য বহু মানুষের বহু দেবকাম মানুষের আরাধ্য মহান্ অগ্নিকে স্তবগাথায় আরাধনা করি, যাঁকে অন্যেরাও স্তব করে থাকেন।

মন্ত্রঃ- (৬০) অয়মগ্নিঃ সুবীর্যস্যেশে হি সৌভগস্য। রায় ঈশে স্বপত্যস্য গোমত ঈশে বৃত্রহথানাম্।।৬।।
অর্থঃ- (৬০) এই অগ্নিদেব সুবীর্যের ঈশ্বর; ইনিই সৌভাগ্যের ঈশ্বর; ইনিই ঈশ্বর ধনের, সুসন্তানের, গোধনের; ইনিই ঈশ্বর পাপনাশকারীদের।

মন্ত্রঃ- (৬১) ত্বমগ্নে গৃহপতিস্তং হোতা নো অধ্বরে। ত্বং পোতা বিশ্ববার প্রচেতা যক্ষি যাসি চ বার্যম্।।৭।।
অর্থঃ- (৬১) তুমি হে অগ্নি, গৃহপতি; তুমি হোতা আমাদের যজ্ঞে। তুমি শুদ্ধিকারক, বিশ্ববরেণ্য মহামনা। তুমি যাগ কর আর বরণীয়কে প্রাপ্ত হও।

মন্ত্রঃ- (৬২) সখায়স্তা ববৃমহে দেবং মর্তাস উতয়ে। অপাং নপাতং সুভগং সুদংসসং সুপ্রভূর্তিমনেহসম্।।৮।।
অর্থঃ- (৬২) তুমি আমাদের পালন করবে বলে মর্ত্যবাসী তোমার সখা আমরা তোমায় বরণ করি। তুমি বারিরক্ষক, সুন্দর, বহুর মুক্তিদাতা, সর্বজয়ী, অপ্রতিহত কাল।

সপ্তম খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।। দেবতা অগ্নি ।। ছন্দ ১।৩, ৫-৯ ত্রিষ্টুপ, ২।৪ জগতী ১০ ত্রিপাদ্ বিরাট্ গায়ত্রী ।। ঋষিঃ ১ শ্যাবাশ্ব আত্রেয় বা বামদেব গৌতম; ২ উপস্তুত বার্ষ্টিহব্য; ৩ বৃহদুকথ্ বামদেব্য; ৪ কুৎস আঙ্গিরস; ৫।৬ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য; ৭ বামদেব গৌতম; ৮।১০ বসিষ্ঠ মৈত্রাবরুণি; ৯ ত্রিশিরা ত্বাষ্ট্র।।

মন্ত্রঃ- (৬৩) আ জুহোতা হবিষা মর্জয়ধ্বং নি হোতারং গৃহপতিং দধিধ্বম্। ইডস্পদে নমসা রাতহবাং সপর্যতা যজতং পস্ত্যানাম ।।১।। (৬৪) চিত্র ইচ্ছিশোস্তরুণস্য বক্ষথো ন যো মাতরাবন্বেতি ধাতবে। অনূধা যদজীজনদধা চিদা ববক্ষ সদ্যো মহি দূত্যাংত চরন্।।২।। (৬৫) ইদং ত একং পর উ ত একং তৃতীয়েন জ্যোতিষা সং বিশস্ব। সংবেশনস্তন্বেতচারুরেধি প্রিয়ো দেবানাং পরমে জনিত্রে।।৩।। (৬৬) ইমং স্তোমমর্হতে জাতবেদসে রথমিব নং মহেমা মনীষয়া। ভদ্রা হি নঃ প্রমতিরস্য সংসদ্যগ্নে সখ্যে মা রিষামা বয়ং তব।।৪।। (৬৭) মূর্ধানং দিবো অরতিং পৃথিব্যা বৈশ্বানরমৃত আ জাতমগ্নিম্। কবিং সম্রাজমতিথিং জনানামাসন্নঃ পাত্রং জনয়স্ত দেবাঃ।।৫।। (৬৮) বি ত্বদাপো ন পর্বতস্য পৃষ্ঠাদুকথেভিরগ্নে জনয়স্ত দেবাঃ। তং ত্বা গিরঃ সুষ্টুতয়ো বাজয়ন্ত্যাজিং ন গির্ববাহো জিগ্যুরশ্বাঃ।।৬।। (৬৯) আ বো রাজানমধ্বরস্য রুদ্রং হোতারং সত্যযজং রোদস্যোঃ। অগ্নিং পুরা তনয়িত্নোরচিত্তাদ্ধিরণ্যরূপমবসে কৃণুধ্বম্।।৭।। (৭০) ইন্ধে রাজা সমর্যো নমোভির্যস্য প্রতীকমাহুতং ঘৃতেন। নরো হব্যেভিরীডতে সবাধ আগ্নিরগ্রমুষসামশোচি।।৮।। (৭১) যাত্যগ্নিরা রোদসী বৃষভো রোরবীতি। দিবশ্চিদন্তাদুপমামুদানডপামুপস্থে মহিষো ববর্ধ ।।৯।। (৭২) অগ্নিং নরো দীধিতিভীররণ্যোর্হস্তচ্যুতং জনয়ত প্রশস্তম্। দূরেদৃশং গৃহপতিমথব্যুম্।।১০।।

অনুবাদঃ (৬৩) তাঁর উদ্দেশে নিবেদন কর, হোতাকে প্রশংসিত কর, গৃহপতিকে অন্তরে ধারণ কর; সকল গৃহের উপাস্যকে স্তুতি দ্বারা, যজ্ঞভূমিতে সেই হব্যগ্রহণকারীকে পূজার দ্বারা প্রীত কর। (৬৪) এই শিশুর এই তরুণের কাজ বড়ই বিচিত্র। এ স্তন্যপানের জন্য মায়ের কাছে যায় না। এর মাতার (-অরণি কাষ্ঠ যা থেকে অগ্নি উৎপন্ন) স্তন নেই, তবু এ জন্মমাত্রই মহান দেবদৌত্যকার্যের ভার গ্রহণ করলো।। (৬৫) হে অগ্নি, এই পার্থিব অগ্নি তোমার একরূপ, অন্তরিক্ষে বিদ্যুৎ তোমার আর এক রূপ, আর দ্যুলোকে সুর্যরূপ জ্যোতির্ময় তোমার শরীর তৃতীয়রূপ - এ তিন রূপে তুমি সকল কিছুর মধ্যে প্রবেশ কর। তারপর তুমি কল্যাণরূপ ধারণ করে দেবশ্রেষ্ঠ পরমপিতা সূর্যদেবের প্রিয় হও।। (৬৬) সুর্যসমান পূজনীয় সর্বজ্ঞান অগ্নির উদ্দেশে প্রজ্ঞার দ্বারা এই স্তুতি রচনা করি। অগ্নির উপাসনায় আমাদের বুদ্ধি হোক কল্যাণময়ী। হে অগ্নি, আমরা তোমার সখা হলে কেউ হিংসা করতে পারবে না।। (৬৭) দ্যুলোকের মস্তক, পৃথিবীর শাসক, বিশ্বনায়ক, সৎকর্মের প্রকাশক, কবি, সম্রাট, অতিথির ন্যায় পূজ্য, জনগণের মুখপাত্র অগ্নিদেবকে দেবগণ (-রশ্মিগণ) প্রকাশিত করেন।। (৬৮) বারিধারা যেমন পর্বতপৃষ্ঠকে সিক্ত করে সেরূপ হে অগ্নি, দেবতুল্য মানুষেরা তোমাকে সামগানে স্নান করান। হে স্তুতিবাহন, অশ্ব যেমন পথকে ব্যাপ্ত করে, সেই সুন্দর স্তুতিও তেমনি তোমাকে উজ্জ্বলরূপে ব্যাপ্ত করুক।। (৬৯) যজ্ঞের রাজা, রুদ্ররূপ, হোতা, দ্যুলোক-ভূলোকের সৎকর্মা, আদি অজ্ঞেয় মহানাদধ্বনি হতে হিরণ্যরূপে জাত অগ্নিকে তোমাদের রক্ষার জন্য উপাসনা কর।। (৭০) রাজা, ঈশ্বর স্তবের দ্বারা সম্যক্ দীপ্ত, যাঁর পূর্ণদর্শন ঘৃতের দ্বারা সংবর্ধিত, মানুষেরা আগ্রহের সঙ্গে হবির দ্বারা তাঁকে পূজা করে; অগ্নিদেব ঊষার আগে দীপ্তি লাভ করতে চলেছেন; কাছের আকাশ দূরের আকাশ তিনি ছেয়ে ফেললেন; জলের আধার আকাশে মহান বিদ্যুৎরূপে তিনি বর্ধিত হলেন।। (৭২) যিনি প্রশস্ত, দূরে দৃশ্যমান, গৃহপতি, দেবগণের উদ্দেশ্যে গমনশীল, সেই অগ্নিকে মানুষেরা আঙ্গুলের সাহায্যে অরণিকাষ্ঠ থেকে উৎপন্ন করেন (-প্রজ্জ্বালিত করেন)।।



অষ্টম খন্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ৮।। দেবতা অগ্নি; ৩ পূষা ।। ছন্দ ত্রিষ্টুপ ।। ঋষিঃ ১ আগ্নেয় বুধ ও গবিষ্টির, ২।৫ ভালদ্দন বৎসপ্রি; ৩ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ৪।৭ গাথি বিশ্বামিত্র, ৬ বসিষ্ঠ মৈত্রাবরুণি, ৮ পায়ু ভারদ্বাজ।।

মন্ত্রঃ (৭৩) অবোধ্যগ্নিঃ সমিধা জনানাং প্রতি ধেনুমিবায়তীমুষাসম্। যহ্বা ইহ প্র বয়ামুজ্জিহানাঃ প্র ভানবঃ সস্রতে নাকমচ্ছ।।১।। (৭৪) প্র ভূর্জয়ন্তং মহাং বিপোধাং মূরৈরমূরং পুরাং দর্মাণম্। নয়ন্তং গীর্ভির্বনা ধিয়ং ধা হরিশ্মশ্রুং ন বর্মণা ধনর্চিম্।।২।। (৭৫) শুক্রং তে অন্যদ্যজতং তে অন্যদ্বিষুরূপে অহনী দ্যৌরিবাসি। বিশ্বা হি মায়া অবসি স্বধাবন্ ভত্রা তে পুষন্নিহ রাতিবস্তু।।৩।। (৭৬) ইড়ামগ্নে পুরুদংসং সনিং গোঃ শশ্বত্তমং হবমানায় সাধ। স্যান্নঃ সূনুস্তনয়ো বিজাবাগ্নে সা তে সুমতির্ভূত্বস্মে।।৪।। (৭৭) প্র হোতা জাতো মহান্নভো বিন্নৃষদ্মা সীদদপাং বিবর্তে। দধদ্যো ধায়ী সু তে বয়াংসি যন্তা বসূনি বিধতে তনূপাঃ।।৫।। (৭৮) প্র সম্রাজমসুরস্য প্রশস্তয়ং পুংসঃ কৃষ্টীনামনুমাদ্যস্য। ইন্দ্রস্যেব প্র তবসস্কৃতানি বদ্দদ্বারা বন্দমানা বিবষ্টু।।৬।। (৭৯) অরণ্যোর্নিহিতো জাতবেদ্য গর্ভ ইবেৎসুভৃতো গর্ভিণীভিঃ। দিবেদিব ঈড্যো জাগৃবদ্ভির্হবিষ্মিদ্ভির্মনুষো-ভিরগ্নিঃ।।৭।। (৮০) সনাদগ্নে মৃণসি যাতুধানান্ন ত্বা রক্ষাংসি পৃতনাসু জিণ্ড্যঃ। অনুদহ সহমূরান্ কয়াদো মা তে হেত্যা মুক্ষত দৈব্যায়াঃ।।৮।।

অনুবাদঃ (৭৩) ঊষাকালে দুগ্ধদাত্রী গাভীগণ যেমন মানুষের কাছে যায় অগ্নিও সেরূপ সমিধকাঠে প্রজ্জ্বালিত হন। তাঁর সেই মহান্ শিখাগুলি শাখাবিস্তারকারী বৃক্ষের মত দ্যুলোকের পানে ছুটে চলে। (৭৪) ভুবনজয়ী, প্রাণদ, মূঢের মত দৃষ্ট অথচ অবাধজ্ঞানসম্পন্ন, পুরনাশক, বেদবাণীর দ্বারা ভজনীয়, সর্বকর্মধারক শ্মশ্রুর মত উজ্জ্বল সুবর্ণশিখারূপ বর্মের দ্বারা আবৃত অগ্নিকে উত্তমরূপে স্তব কর। (৭৫) সে উদিতভানু পূষারূপী অগ্নি, তোমার এই যে লোহিতবর্ণ এ তোমার এক রূপ, আর যজ্ঞযোগ্য পূজনীয় তোমার যে রূপ তা অন্য; দিন ও রাত্রি সৃষ্টিরূপ কর্মের দ্বারা তুমি অন্তরিক্ষের মত বিশ্বব্যাপী। যে নিয়ন্তা, এই বিশ্বমায়ার তুমিই পালক; হে পূষা, তোমার এই দান কল্যাণময় হোক।। (৭৬) হে অগ্নি, তোমার উপাসকের জন্য বহুকর্মযুক্ত ধন ও শাশ্বতী বেদবাণী তুমি দিয়ে থাক। হে অগ্নি, আমাদের এমন পুত্র দাও যার থেকে বংশ বিস্তার হবে আর তোমার কল্যাণ আমাদের ওপর বর্ষিত হবে। (৭৭) অগ্নি মহান্ হয়ে হোতারূপে জাত হলেন, মানুষের মধ্যে নিবাস করলেন, জলের মধ্যে অবস্থান করলেন।। ওই মহাশূন্যে জন্মলাভ করে সকল কিছুই তিনি জানলেন আর সকল জীব ও ধনসম্পদের নিয়ামক হলেন।। (৭৮) প্রাণের দীপ্ত আধার, প্রশস্ত পৌরুষযুক্ত মানুষের পূজ্য, ইন্দ্রের মত বলশালী সেই প্রথমজাতকে স্তুতিদ্বারা বন্দনা কর।। (৭৯) গর্ভিণীর গর্ভে সুরক্ষিত ভাবে অবস্থিত প্রাণের মত দুই অরুণি কাঠের মধ্যে নিহিত আছেন জাতবেদা অগ্নি। যাঁরা নিজকর্মে সচেতন সেই হবির দাতা নরকূলে অগ্নি প্রতিদিন পূজিত।। (৮০) হে অগ্নি, যাদের হাত দুই অরণি কাঠের মধ্য মধ্য নিহিত আছেন জাতবেদা অগ্নি। যাঁরা, যাদের হাত থেকে জীবন রক্ষিতব্য তাদের ধ্বংস কর; তারা যেন তোমার ওপর জয়লাভ না করে; অপক্বমাংসভোজীগণ যেন তোমার দিব্য অস্ত্রের আঘাত থেকে মুক্তিলাভ না করে।।



নবম খন্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ১০; দেবতা অগ্নি ।। ছন্দ অনুষ্টুপ ।। ঋষিঃ ১ গয় আত্রেয়, ২ বামদেব, ৬।৪ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ৫ দ্বিত মৃক্তবাহ্য আত্রেয়, ৩ অত্রিপুত্র বসুগণ, ৭।৯ গোপবন আত্রেয়, ৮ পুরু আত্রেয়, ১০ বামদেব কশ্যপ বা মারীচ অথবা বৈবস্বত মনু অথবা উভয়কৃত।।

মন্ত্রঃ (৮১) অগ্ন ওজিষ্ঠমা ভর দ্যুম্নমষ্মভ্যমধ্রিগো। প্র নো রায়ে পনীয়সে রৎসি বাজায় পন্থাম্‌।।১।। (৮২) যদি বীরো অনুষ্যাদগ্নিমিন্ধীত মর্ত্ত্যঃ। আজুহ্বধ্বব্যমানুষক্‌ শর্ম ভক্ষীত দৈব্যম্‌।।২।। (৮৩) ত্বেষস্তে ধূম ঋন্বতি দিবি সঞ্ছুক্রু আততঃ। সূরো ন দি দ্যুতা ত্বং কৃপা পাবক রোচসে।।৩।। (৮৪) ত্বং হি ক্ষৈতবদ্যশোহগ্নে মিত্র ন পত্যসে। ত্বং বিচর্ষণে শ্রবো পুষ্টিং ন পুষ্যতি।।৪।। (৮৫) প্রাতরগ্নিঃ পুরুপ্রিয়ো বিশ স্তবেতাতিথিঃ। বিশ্বে যস্মিন্নমর্ত্যে হব্যং মর্তাস ইন্ধতে।।৫।। (৮৬) যদ্‌ বাহিষ্ঠং তদগ্নয়ে বৃহদর্চ বিভাবসো। মহিষীব ত্বদ্‌ রয়িস্‌ত্বদ্‌ বাজা উদীরতে।।৬।। (৮০) বিশোবিশো বো অতিথিং বাজয়ন্তঃ পুরুপ্রিয়ম্‌। অগ্নিং বো দুর্যং বচঃ স্তুষে শুষস্য মন্মভিঃ।। ৭।। (৮৮) বৃহদ বয়ো হি ভাববেহর্চা দেবায়াগ্নয়ে। যং মিত্রং ন প্রশস্তয়ে মর্তাসো দধিরে পুরঃ।।৮।। (৮৯) অগন্ম বৃত্রহন্তনং জ্যেষ্ঠমগ্নিমানবম্‌ বৃহদনীক ইধ্যতে।।৯।। (৯০) জাতঃ পরেণ ধর্মণা যৎ সবৃদ্ধিঃ সহাভুবঃ। পিতা যৎ কশ্যপস্যাগ্নিঃ শ্রদ্ধা মাতা মনুঃ কবিঃ।।১০।।

অনুবাদঃ (৮১) হে অগ্নি, হে সদাগমনশীল, শ্রেষ্ঠ ধন বল প্রদান কর; গূঢ় বাক্যের দ্বারা বোধগম্য আশ্চর্যকর পরমধনের জন্য পথ নির্দেশ কর।। (৮২) মরণশীল মানুষ যদি বীর্যমান হয়ে নিরন্তর অগ্নিদেবকে উপাসনা করে তবেই দিব্যসুখ ও আশ্রয় লাভ করতে পারে।। (৮৩) হে পূত শুদ্ধ অগ্নি, তোমার মহান্‌ ধূম দ্যুলোকে গমন করে বারিরূপে ব্যাপ্ত হয়; তুমি নিজ সামর্থ্যে সূর্যের মত দীপ্ত হয়ে প্রকাশিত হও।। (৮৪) হে অগ্নি, রাজপুত্রের মত কান্তি তোমার, বন্ধুর মত আবিষ্ট কর; বিশ্বদ্রষ্টা তুমি হে বহুধন, যশ, আর পুষ্টি দিয়ে আমাদের পোষণ কর।। (৮৫) বিশ্বে যে অবিনশ্বরকে নশ্বর মানুষেরা হব্যদান ক'রে পূজা করে, তিনি জনগণের অতিথিবৎ পূজ্য, বহুপ্রিয়, প্রাতঃকালে পূজিত অগ্নিদেব।। (৮৬) উত্তম যে স্তব তা' অগ্নের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত। হে বিভাবসু, তোমা হতে বিপুল ধন ও অন্ন উৎপন্ন হয়।। (৮৭) সকল জনের অতিথি, বহুপ্রিয় অগ্নিকে অন্নকাম মানুষ তোমাদের জন্য আমি যথাশক্তি মননের দ্বারা দূর্জ্ঞেয় বাক্যে তুষ্ট করি।। (৮৮) মর্তের মানুষেরা স্তব ক'রে যে অগ্নিকে বন্ধুর মত পুরোভাগে স্থাপন করে, সেই দীপ্তশিখা অগ্নিদেবকে মহানন্দে অর্চনা কর।। (৮৯) যিনি মহান দীপ্তিতে ঋক্ষপুত্র শ্রুতর্বার কাছে প্রকাশিত হয়েছিলেন সেই প্রথমজাত, পাপনাশক, মানুষের হিতকর অগ্নিকে আমি জানি।। (৯০) যা উৎকৃষ্ট, পরম ধর্মজাত যা সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে বর্ধিত হয়, যে বিশ্বলোকের (=কশ্যপ) পালয়িতা, সেই অগ্নিই শ্রদ্ধা, মাতা, ক্রান্তদর্শী মনু। [ কশ্যপ=একপ্রকার আলোক যা সূর্যের ভ্রমণপথকে নিয়ন্ত্রিত করে ]।।দশম খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ৬।। দেবতাঃ ১ বিশ্বদেবগণ, ২ অঙ্গিরা, ৩-৬ অগ্নি।। ছন্দ অনুষ্টুপ।। ঋষিঃ ১ অগ্নিস্তাপস, ২।৩ বামদেব কশ্যপ বা অসিত দেবল, ৪ সোমাহুতি ভার্গব বা ভর্গাহুতি সোম ৫ পায়ু ভারদ্বাজ, ৬ প্রস্কন্ব কান্ব।।মন্ত্রঃ (৯১) সোমং রাজানং বরুণমগ্নিমন্বারভামহে। আদিত্যং বিষ্ণুং সূর্যং ব্রহ্মাণং চ বৃহস্পতিম্‌।।১।। (৯২) ইত এত উদারুহন্দিবঃ পৃষ্ঠান্যারুহন্‌। প্র ভুর্জয়ো যথা পথো দ্যামঙ্গিরসো যযুঃ।।২।। রায়ে আগ্নে মহে ত্বা দানায় সমিধিমহি। ঈড়িষ্বা হি মহে বৃষন্‌ দ্যাবা হোত্রায় পৃথিবী।।৩।। (৯৪) দধন্বে বা যদীমনু বোচদ্‌ ব্রহ্মেতি বেরু তৎ। পরি বিশ্বানি কাব্যা নেমিশ্চক্রমিবাভুবৎ।।৪।। (৯৫) প্রত্যগ্নে হরসা হরঃ শৃণাহি বিশ্বতস্পরি। যাতুধানস্য রক্ষস্যে বলং ব্যুব্জবীর্যম্‌।।৫।। (৯৬) তমগ্নে বসুঁরিহ রুদ্রাঁ আদিত্যাঁ উত। যজা স্বধ্বরং জনং মনুজাতং ঘৃতপ্রুষম্‌।।৬।।

অনুবাদঃ (৯১) আমাদের রক্ষার জন্য আমরা সোমরাজাকে, বরুণ অগ্নিকে আহ্বান করি; আর আহ্বান করি আদিত্য বিষ্ণু, সুর্য, ব্রহ্মা ও বৃহস্পতিকে।। (৯২) পৃথিবীবিজয়ী রাজা যে পথে দিব্যধামে গমন করেন আঙ্গিরাগণও সেই পথে দ্যুলোকে গমন করেন।। (৯৩) হে অগ্নি, শ্রেষ্ঠ ধনলাভের জন্য তোমাকে সন্দীপ্ত করি। হে বর্ষণকারী, মহান্‌ আহুতিকর্মের জন্য দ্যুলোক ও ভূলোককে প্রশংসিত কর।। (৯৪) যজ্ঞে উপাসক যে হব্য দান করেন, যে মন্ত্র উচ্চারণ করেন ব্রহ্মস্বরূপ অগ্নি তা সমস্তই জানেন। নেমি যেমন চক্রকে ব্যাপ্ত করে বর্তমান থাকে অগ্নিও সেরূপ উপাসকের সমস্ত কর্মই ব্যাপ্ত করে আছেন।। (৯৬) হে অগ্নি, তোমার তেজের দ্বারা হিংসকের বল নষ্ট কর, বিঘ্নকারীর বলবীর্য ভেঙে দাও।। (৯৬) হে অগ্নি, এই যজ্ঞে বসু, রুদ্র ও আদিত্যদের অর্চনা কর; সোভন যজ্ঞযুক্ত ও বৃষ্টিপ্রদানকারী মনুজাতদেরও ভজনা কর।। 

নবম খন্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ১০; দেবতা অগ্নি ।। ছন্দ অনুষ্টুপ ।। ঋষিঃ ১ গয় আত্রেয়, ২ বামদেব, ৬।৪ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ৫ দ্বিত মৃক্তবাহ্য আত্রেয়, ৩ অত্রিপুত্র বসুগণ, ৭।৯ গোপবন আত্রেয়, ৮ পুরু আত্রেয়, ১০ বামদেব কশ্যপ বা মারীচ অথবা বৈবস্বত মনু অথবা উভয়কৃত।।

মন্ত্রঃ (৮১) অগ্ন ওজিষ্ঠমা ভর দ্যুম্নমষ্মভ্যমধ্রিগো। প্র নো রায়ে পনীয়সে রৎসি বাজায় পন্থাম্‌।।১।। (৮২) যদি বীরো অনুষ্যাদগ্নিমিন্ধীত মর্ত্ত্যঃ। আজুহ্বধ্বব্যমানুষক্‌ শর্ম ভক্ষীত দৈব্যম্‌।।২।। (৮৩) ত্বেষস্তে ধূম ঋন্বতি দিবি সঞ্ছুক্রু আততঃ। সূরো ন দি দ্যুতা ত্বং কৃপা পাবক রোচসে।।৩।। (৮৪) ত্বং হি ক্ষৈতবদ্যশোহগ্নে মিত্র ন পত্যসে। ত্বং বিচর্ষণে শ্রবো পুষ্টিং ন পুষ্যতি।।৪।। (৮৫) প্রাতরগ্নিঃ পুরুপ্রিয়ো বিশ স্তবেতাতিথিঃ। বিশ্বে যস্মিন্নমর্ত্যে হব্যং মর্তাস ইন্ধতে।।৫।। (৮৬) যদ্‌ বাহিষ্ঠং তদগ্নয়ে বৃহদর্চ বিভাবসো। মহিষীব ত্বদ্‌ রয়িস্‌ত্বদ্‌ বাজা উদীরতে।।৬।। (৮০) বিশোবিশো বো অতিথিং বাজয়ন্তঃ পুরুপ্রিয়ম্‌। অগ্নিং বো দুর্যং বচঃ স্তুষে শুষস্য মন্মভিঃ।। ৭।। (৮৮) বৃহদ বয়ো হি ভাববেহর্চা দেবায়াগ্নয়ে। যং মিত্রং ন প্রশস্তয়ে মর্তাসো দধিরে পুরঃ।।৮।। (৮৯) অগন্ম বৃত্রহন্তনং জ্যেষ্ঠমগ্নিমানবম্‌ বৃহদনীক ইধ্যতে।।৯।। (৯০) জাতঃ পরেণ ধর্মণা যৎ সবৃদ্ধিঃ সহাভুবঃ। পিতা যৎ কশ্যপস্যাগ্নিঃ শ্রদ্ধা মাতা মনুঃ কবিঃ।।১০।।

অনুবাদঃ (৮১) হে অগ্নি, হে সদাগমনশীল, শ্রেষ্ঠ ধন বল প্রদান কর; গূঢ় বাক্যের দ্বারা বোধগম্য আশ্চর্যকর পরমধনের জন্য পথ নির্দেশ কর।। (৮২) মরণশীল মানুষ যদি বীর্যমান হয়ে নিরন্তর অগ্নিদেবকে উপাসনা করে তবেই দিব্যসুখ ও আশ্রয় লাভ করতে পারে।। (৮৩) হে পূত শুদ্ধ অগ্নি, তোমার মহান্‌ ধূম দ্যুলোকে গমন করে বারিরূপে ব্যাপ্ত হয়; তুমি নিজ সামর্থ্যে সূর্যের মত দীপ্ত হয়ে প্রকাশিত হও।। (৮৪) হে অগ্নি, রাজপুত্রের মত কান্তি তোমার, বন্ধুর মত আবিষ্ট কর; বিশ্বদ্রষ্টা তুমি হে বহুধন, যশ, আর পুষ্টি দিয়ে আমাদের পোষণ কর।। (৮৫) বিশ্বে যে অবিনশ্বরকে নশ্বর মানুষেরা হব্যদান ক'রে পূজা করে, তিনি জনগণের অতিথিবৎ পূজ্য, বহুপ্রিয়, প্রাতঃকালে পূজিত অগ্নিদেব।। (৮৬) উত্তম যে স্তব তা' অগ্নের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত। হে বিভাবসু, তোমা হতে বিপুল ধন ও অন্ন উৎপন্ন হয়।। (৮৭) সকল জনের অতিথি, বহুপ্রিয় অগ্নিকে অন্নকাম মানুষ তোমাদের জন্য আমি যথাশক্তি মননের দ্বারা দূর্জ্ঞেয় বাক্যে তুষ্ট করি।। (৮৮) মর্তের মানুষেরা স্তব ক'রে যে অগ্নিকে বন্ধুর মত পুরোভাগে স্থাপন করে, সেই দীপ্তশিখা অগ্নিদেবকে মহানন্দে অর্চনা কর।। (৮৯) যিনি মহান দীপ্তিতে ঋক্ষপুত্র শ্রুতর্বার কাছে প্রকাশিত হয়েছিলেন সেই প্রথমজাত, পাপনাশক, মানুষের হিতকর অগ্নিকে আমি জানি।। (৯০) যা উৎকৃষ্ট, পরম ধর্মজাত যা সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে বর্ধিত হয়, যে বিশ্বলোকের (=কশ্যপ) পালয়িতা, সেই অগ্নিই শ্রদ্ধা, মাতা, ক্রান্তদর্শী মনু। [ কশ্যপ=একপ্রকার আলোক যা সূর্যের ভ্রমণপথকে নিয়ন্ত্রিত করে ]।।

দশম খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ৬।। দেবতাঃ ১ বিশ্বদেবগণ, ২ অঙ্গিরা, ৩-৬ অগ্নি।। ছন্দ অনুষ্টুপ।। ঋষিঃ ১ অগ্নিস্তাপস, ২।৩ বামদেব কশ্যপ বা অসিত দেবল, ৪ সোমাহুতি ভার্গব বা ভর্গাহুতি সোম ৫ পায়ু ভারদ্বাজ, ৬ প্রস্কন্ব কান্ব।।

মন্ত্রঃ (৯১) সোমং রাজানং বরুণমগ্নিমন্বারভামহে। আদিত্যং বিষ্ণুং সূর্যং ব্রহ্মাণং চ বৃহস্পতিম্‌।।১।। (৯২) ইত এত উদারুহন্দিবঃ পৃষ্ঠান্যারুহন্‌। প্র ভুর্জয়ো যথা পথো দ্যামঙ্গিরসো যযুঃ।।২।। রায়ে আগ্নে মহে ত্বা দানায় সমিধিমহি। ঈড়িষ্বা হি মহে বৃষন্‌ দ্যাবা হোত্রায় পৃথিবী।।৩।। (৯৪) দধন্বে বা যদীমনু বোচদ্‌ ব্রহ্মেতি বেরু তৎ। পরি বিশ্বানি কাব্যা নেমিশ্চক্রমিবাভুবৎ।।৪।। (৯৫) প্রত্যগ্নে হরসা হরঃ শৃণাহি বিশ্বতস্পরি। যাতুধানস্য রক্ষস্যে বলং ব্যুব্জবীর্যম্‌।।৫।। (৯৬) তমগ্নে বসুঁরিহ রুদ্রাঁ আদিত্যাঁ উত। যজা স্বধ্বরং জনং মনুজাতং ঘৃতপ্রুষম্‌।।৬।।অনুবাদঃ (৯১) আমাদের রক্ষার জন্য আমরা সোমরাজাকে, বরুণ অগ্নিকে আহ্বান করি; আর আহ্বান করি আদিত্য বিষ্ণু, সুর্য, ব্রহ্মা ও বৃহস্পতিকে।। (৯২) পৃথিবীবিজয়ী রাজা যে পথে দিব্যধামে গমন করেন আঙ্গিরাগণও সেই পথে দ্যুলোকে গমন করেন।। (৯৩) হে অগ্নি, শ্রেষ্ঠ ধনলাভের জন্য তোমাকে সন্দীপ্ত করি। হে বর্ষণকারী, মহান্‌ আহুতিকর্মের জন্য দ্যুলোক ও ভূলোককে প্রশংসিত কর।। (৯৪) যজ্ঞে উপাসক যে হব্য দান করেন, যে মন্ত্র উচ্চারণ করেন ব্রহ্মস্বরূপ অগ্নি তা সমস্তই জানেন। নেমি যেমন চক্রকে ব্যাপ্ত করে বর্তমান থাকে অগ্নিও সেরূপ উপাসকের সমস্ত কর্মই ব্যাপ্ত করে আছেন।। (৯৬) হে অগ্নি, তোমার তেজের দ্বারা হিংসকের বল নষ্ট কর, বিঘ্নকারীর বলবীর্য ভেঙে দাও।। (৯৬) হে অগ্নি, এই যজ্ঞে বসু, রুদ্র ও আদিত্যদের অর্চনা কর; সোভন যজ্ঞযুক্ত ও বৃষ্টিপ্রদানকারী মনুজাতদেরও ভজনা কর।। 


নবম খন্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ১০; দেবতা অগ্নি ।। ছন্দ অনুষ্টুপ ।। ঋষিঃ ১ গয় আত্রেয়, ২ বামদেব, ৬।৪ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ৫ দ্বিত মৃক্তবাহ্য আত্রেয়, ৩ অত্রিপুত্র বসুগণ, ৭।৯ গোপবন আত্রেয়, ৮ পুরু আত্রেয়, ১০ বামদেব কশ্যপ বা মারীচ অথবা বৈবস্বত মনু অথবা উভয়কৃত।।

মন্ত্রঃ (৮১) অগ্ন ওজিষ্ঠমা ভর দ্যুম্নমষ্মভ্যমধ্রিগো। প্র নো রায়ে পনীয়সে রৎসি বাজায় পন্থাম্‌।।১।। (৮২) যদি বীরো অনুষ্যাদগ্নিমিন্ধীত মর্ত্ত্যঃ। আজুহ্বধ্বব্যমানুষক্‌ শর্ম ভক্ষীত দৈব্যম্‌।।২।। (৮৩) ত্বেষস্তে ধূম ঋন্বতি দিবি সঞ্ছুক্রু আততঃ। সূরো ন দি দ্যুতা ত্বং কৃপা পাবক রোচসে।।৩।। (৮৪) ত্বং হি ক্ষৈতবদ্যশোহগ্নে মিত্র ন পত্যসে। ত্বং বিচর্ষণে শ্রবো পুষ্টিং ন পুষ্যতি।।৪।। (৮৫) প্রাতরগ্নিঃ পুরুপ্রিয়ো বিশ স্তবেতাতিথিঃ। বিশ্বে যস্মিন্নমর্ত্যে হব্যং মর্তাস ইন্ধতে।।৫।। (৮৬) যদ্‌ বাহিষ্ঠং তদগ্নয়ে বৃহদর্চ বিভাবসো। মহিষীব ত্বদ্‌ রয়িস্‌ত্বদ্‌ বাজা উদীরতে।।৬।। (৮০) বিশোবিশো বো অতিথিং বাজয়ন্তঃ পুরুপ্রিয়ম্‌। অগ্নিং বো দুর্যং বচঃ স্তুষে শুষস্য মন্মভিঃ।। ৭।। (৮৮) বৃহদ বয়ো হি ভাববেহর্চা দেবায়াগ্নয়ে। যং মিত্রং ন প্রশস্তয়ে মর্তাসো দধিরে পুরঃ।।৮।। (৮৯) অগন্ম বৃত্রহন্তনং জ্যেষ্ঠমগ্নিমানবম্‌ বৃহদনীক ইধ্যতে।।৯।। (৯০) জাতঃ পরেণ ধর্মণা যৎ সবৃদ্ধিঃ সহাভুবঃ। পিতা যৎ কশ্যপস্যাগ্নিঃ শ্রদ্ধা মাতা মনুঃ কবিঃ।।১০।।

অনুবাদঃ (৮১) হে অগ্নি, হে সদাগমনশীল, শ্রেষ্ঠ ধন বল প্রদান কর; গূঢ় বাক্যের দ্বারা বোধগম্য আশ্চর্যকর পরমধনের জন্য পথ নির্দেশ কর।। (৮২) মরণশীল মানুষ যদি বীর্যমান হয়ে নিরন্তর অগ্নিদেবকে উপাসনা করে তবেই দিব্যসুখ ও আশ্রয় লাভ করতে পারে।। (৮৩) হে পূত শুদ্ধ অগ্নি, তোমার মহান্‌ ধূম দ্যুলোকে গমন করে বারিরূপে ব্যাপ্ত হয়; তুমি নিজ সামর্থ্যে সূর্যের মত দীপ্ত হয়ে প্রকাশিত হও।। (৮৪) হে অগ্নি, রাজপুত্রের মত কান্তি তোমার, বন্ধুর মত আবিষ্ট কর; বিশ্বদ্রষ্টা তুমি হে বহুধন, যশ, আর পুষ্টি দিয়ে আমাদের পোষণ কর।। (৮৫) বিশ্বে যে অবিনশ্বরকে নশ্বর মানুষেরা হব্যদান ক'রে পূজা করে, তিনি জনগণের অতিথিবৎ পূজ্য, বহুপ্রিয়, প্রাতঃকালে পূজিত অগ্নিদেব।। (৮৬) উত্তম যে স্তব তা' অগ্নের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত। হে বিভাবসু, তোমা হতে বিপুল ধন ও অন্ন উৎপন্ন হয়।। (৮৭) সকল জনের অতিথি, বহুপ্রিয় অগ্নিকে অন্নকাম মানুষ তোমাদের জন্য আমি যথাশক্তি মননের দ্বারা দূর্জ্ঞেয় বাক্যে তুষ্ট করি।। (৮৮) মর্তের মানুষেরা স্তব ক'রে যে অগ্নিকে বন্ধুর মত পুরোভাগে স্থাপন করে, সেই দীপ্তশিখা অগ্নিদেবকে মহানন্দে অর্চনা কর।। (৮৯) যিনি মহান দীপ্তিতে ঋক্ষপুত্র শ্রুতর্বার কাছে প্রকাশিত হয়েছিলেন সেই প্রথমজাত, পাপনাশক, মানুষের হিতকর অগ্নিকে আমি জানি।। (৯০) যা উৎকৃষ্ট, পরম ধর্মজাত যা সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে বর্ধিত হয়, যে বিশ্বলোকের (=কশ্যপ) পালয়িতা, সেই অগ্নিই শ্রদ্ধা, মাতা, ক্রান্তদর্শী মনু। [ কশ্যপ=একপ্রকার আলোক যা সূর্যের ভ্রমণপথকে নিয়ন্ত্রিত করে ]।।


দশম খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ৬।। দেবতাঃ ১ বিশ্বদেবগণ, ২ অঙ্গিরা, ৩-৬ অগ্নি।। ছন্দ অনুষ্টুপ।। ঋষিঃ ১ অগ্নিস্তাপস, ২।৩ বামদেব কশ্যপ বা অসিত দেবল, ৪ সোমাহুতি ভার্গব বা ভর্গাহুতি সোম ৫ পায়ু ভারদ্বাজ, ৬ প্রস্কন্ব কান্ব।।

মন্ত্রঃ (৯১) সোমং রাজানং বরুণমগ্নিমন্বারভামহে। আদিত্যং বিষ্ণুং সূর্যং ব্রহ্মাণং চ বৃহস্পতিম্‌।।১।। (৯২) ইত এত উদারুহন্দিবঃ পৃষ্ঠান্যারুহন্‌। প্র ভুর্জয়ো যথা পথো দ্যামঙ্গিরসো যযুঃ।।২।। রায়ে আগ্নে মহে ত্বা দানায় সমিধিমহি। ঈড়িষ্বা হি মহে বৃষন্‌ দ্যাবা হোত্রায় পৃথিবী।।৩।। (৯৪) দধন্বে বা যদীমনু বোচদ্‌ ব্রহ্মেতি বেরু তৎ। পরি বিশ্বানি কাব্যা নেমিশ্চক্রমিবাভুবৎ।।৪।। (৯৫) প্রত্যগ্নে হরসা হরঃ শৃণাহি বিশ্বতস্পরি। যাতুধানস্য রক্ষস্যে বলং ব্যুব্জবীর্যম্‌।।৫।। (৯৬) তমগ্নে বসুঁরিহ রুদ্রাঁ আদিত্যাঁ উত। যজা স্বধ্বরং জনং মনুজাতং ঘৃতপ্রুষম্‌।।৬।।

অনুবাদঃ (৯১) আমাদের রক্ষার জন্য আমরা সোমরাজাকে, বরুণ অগ্নিকে আহ্বান করি; আর আহ্বান করি আদিত্য বিষ্ণু, সুর্য, ব্রহ্মা ও বৃহস্পতিকে।। (৯২) পৃথিবীবিজয়ী রাজা যে পথে দিব্যধামে গমন করেন আঙ্গিরাগণও সেই পথে দ্যুলোকে গমন করেন।। (৯৩) হে অগ্নি, শ্রেষ্ঠ ধনলাভের জন্য তোমাকে সন্দীপ্ত করি। হে বর্ষণকারী, মহান্‌ আহুতিকর্মের জন্য দ্যুলোক ও ভূলোককে প্রশংসিত কর।। (৯৪) যজ্ঞে উপাসক যে হব্য দান করেন, যে মন্ত্র উচ্চারণ করেন ব্রহ্মস্বরূপ অগ্নি তা সমস্তই জানেন। নেমি যেমন চক্রকে ব্যাপ্ত করে বর্তমান থাকে অগ্নিও সেরূপ উপাসকের সমস্ত কর্মই ব্যাপ্ত করে আছেন।। (৯৬) হে অগ্নি, তোমার তেজের দ্বারা হিংসকের বল নষ্ট কর, বিঘ্নকারীর বলবীর্য ভেঙে দাও।। (৯৬) হে অগ্নি, এই যজ্ঞে বসু, রুদ্র ও আদিত্যদের অর্চনা কর; সোভন যজ্ঞযুক্ত ও বৃষ্টিপ্রদানকারী মনুজাতদেরও ভজনা কর।।

একাদশ খন্ড।। মন্ত্র সংখ্যা ১০।। দেবতা অগ্নি; ৫ পবমান সোম; ৬ অদিতি।। ছন্দ ঊষ্ণিক্‌।। ঋষিঃ ১ দীর্ঘতমা ঔচথা, ২।৪ গাথি বিশ্বামিত্র, ৩ গোতম রাহুগণ, ৫ ত্রিত আপ্ত্য, ৬ ইরিম্বিঠি কান্ব, ৭।৮।১০ বিশ্বমনা বৈয়শ্ব, ৮ ঋজিশ্বা ভারদ্বাজ।।

মন্ত্রঃ (৯৭) পুরু ত্বা দাশিবাং বোচেহরিরগ্নে তব স্বিদা। তোদস্যেব শরণ আ মহস্য।।১।। (৯৮) প্র হোত্রে পূর্ব্যং বচোহগ্নয়ে ভরতা বৃহৎ। বিপাং জ্যোতীংষি বিভ্রতে ব বেধসে।।২।। (৯৯) অগ্নে বাজস্য গোমত ঈশানঃ সহসো যহো। অস্মে দেহি জাতবেদো মহি শ্রবঃ।।৩।। (১০০) অগ্নে যজিষ্ঠো অধ্বরে দেবান্‌ দেবয়তে যজ। হোতা মন্দ্রো বি রাজস্যতি স্রিধঃ।।৪।। (১০১) জজ্ঞানঃ সপ্ত মাতৃভির্মেধামাশাসত শ্রিয়ে। অয়ং ধ্রুবো রয়ীণাং চিকেতদা।।৫।। (১০২) উত স্যা নো দিবা মাতরদিতিরূত্যাগমৎ। সা শন্তানা ময়স্করদপ স্রিধঃ।।৬।। (১০৩) ঈদিষ্বা হি প্রতীব্যাংত যজস্ব জাতবেদসম্‌। চরিষ্ণু ধূমমগৃভীতশোচিষম।।৭।। (১০৪) ন তস্য মায়য়া চ ন রিপুরীশীত মর্ত্যঃ। যো অগ্নয়ে দদাশ হব্যদাতয়ে।।৮।। (১০৫) অপ ত্যং বৃজিনং রিপুং স্তেনমগ্নে দুরাধ্যম্‌। দবিশ্বমস্য সয়পতে কৃধী সুগম্‌।।৯।। (১০৬) শ্রুষ্ট্যগ্নে নবস্য মে স্তোমস্য বীর বিশ্‌পতে। নি মায়িনস্তপসা রক্ষস্যে দহ।।১০।।

অনুবাদঃ (৯৭) হে অগ্নি, আমি তোমার উদ্দেশে অনেক হব্য দান ক'রে তোমার কাছে অনেক কামনা করি। হে অগ্নি, মহান্‌ প্রভুর গৃহে যেমন সেবক থাকে, আমিও তোমার তেমনি সেবক।। (৯৮) হে নরগণ, মেধাসম্পন্নদের তেজ ধারণকারী জগৎনিয়ন্তা, দেবগণের আহ্বানকারী অগ্নিদেবের উদ্দেশে মহান সনাতন বাণী উচ্চারণ কর। (৯৯) হে অগ্নি, তুমি বলজাত, তুমি বাক্‌, বল ও অন্নের ঈশ্বর; হে জাতবেদা, আমাদের মহান প্রখ্যাত অন্ন বল দাও। (১০০) হে অগ্নি, তুমি যজ্ঞকারিগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ যাজ্ঞিক, যারা দেবকাম তাদের জন্য তুমি দেবতাদের মিলিত কর; তুমি হোতা আনন্দময়, তুমি অবিশ্বাসীকে পরাভূত ক'রে বিরাজ কর। (১০১) সোম যখন জন্মালেন তখন সপ্তমাতারূপিণী সপ্তছন্দ সৌন্দর্যের জন্য সোমকে ঘিরে স্তব করতে লাগলেন, কারণ তিনি সর্বজ্ঞ, আর তিনিই নিশ্চিত ধনের সন্ধান জানেন। (১০২) সেই অখন্ড মননশক্তি আমাদের নিত্য রক্ষার জন্য আগমন করুন; তিনি আমাদের শান্তিকর সুখ বিধান করুন, বিঘ্ন নাশ করুন।।১০৩।। যিনি বিঘ্ননাশকারী, জাতবেদা, যাঁর ধূম সর্বত্র সঞ্চারিত, যাঁর তেজ কেহ গ্রহন করতে পারে না, সেই অগ্নিকে স্তব কর, পূজা কর।। (১০৪) যিনি কর্মফলদাতা অগ্নির উদ্দেশে দান করেন তার শত্রু কোন প্রকার মায়াদ্বারা তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।। (১০৫) হে অগ্নি, সেই কুটিলপথগামীকে, শত্রুকে, চোরকে, দারিদ্র্যকে নাশ কর। হে সজ্জনপালক, এই সমস্ত দূর ক'রে আমাদের সুপথগামী কর।। (১০৬) হে বীর, হে জনগণপালক, আমার এই নতুন স্ত্রোত্র শুনে মায়াসৃষ্টিকারী বিঘ্নকারক শক্তিকে তোমার তপের তাপে দহন কর।।

দ্বাদশ খন্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ৮।। দেবতা অগ্নি।। ছন্দ ১-৭, ককূপ, ৮ ঊষ্ণিক।। ঋষিঃ ১।৪ প্রয়োগ ভার্গব অথবা সৌভরি কান্ব, ২।৩।৫।৬।৭ সৌভরি কান্ব, ৮ বিশ্বমনা বৈয়শ্ব।।
মন্ত্রঃ (১০৭) প্র মংহিষ্ঠায় গায়ত ঋতাব্নে বৃহতে শুক্রশোচিষে। উপস্তুতাসো অগ্নয়ে।।১।। (১০৮) প্র সো অগ্নে তবোতিভিঃ সুবীরাভিস্তরতি বাজকর্মভিঃ। যস্য ত্বং সখ্যমাবিথ।।২।। (১০৯) তং গূর্ধয়া স্বর্ণরং দেবাসো দেবমরতিং দধন্বিরে। দেবত্রা হব্যমুহিষে।।৩।। (১১০) মা নো হৃণীথা অতিথিং বসুরগ্নিঃ পুরুপ্রশস্ত এষঃ। যঃ সুহোভা স্বধ্বরঃ।।৪।। (১১১) ভদ্রো নো অগ্নিরাহুতে ভদ্রা রাতিঃ সুভগ ভদ্রো অধ্বরঃ। ভদ্রা উত প্রশস্তয়ঃ।।৫।। (১১২) যজিষ্ঠং ত্বা ববৃমহে দেবং দেবত্রা হোতারমমর্ত্যম্‌। অস্য যজ্ঞস্য সুক্রতুম্‌।।৬।। (১১৩) তদগ্নে দ্যুন্মমা ভর যৎসাসাহা সদনে কঞ্চিদত্রিণম্‌। মন্যুং জনস্য দূঢ্যম্‌।।৭।। (১১৪) যদ্বা উ বিশ্‌পতিঃ শিতঃ সুপ্রীতো মনুষো বিশে। বিশ্বেদগ্নিঃ প্রতি রক্ষাংসি সেধতি।।
অনুবাদঃ
 (১০৭) হে স্তোতাগণ, তোমরা শ্রেষ্ঠদাতা, সত্যধর্মা, মহান, পবিত্র দীপ্তিময় অগ্নির উদ্দেশে গান কর।। (১০৮) হে অগ্নি, তুমি যাকে সখা কর সে তোমার দেওয়া উত্তম বল ও অন্নদ্বারা সকল বিঘ্ন অতিক্রম করে।। (১০৯) হে স্তোতা, যিনি দ্যুলোকে হব্য নিয়ে যান সেই প্রসিদ্ধ অগ্নির স্তব কর; বিদ্বান্‌গণ তাঁরই কাছে গমন করেন এবং তাঁর মাধ্যমে দেবগণকে হব্য প্রদান করেন।। (১১০) যিনি দেবগণের উত্তম আহ্বানকারী, যিনি সুযাজ্ঞিক সেই অতিপ্রশস্ত ধনপ্রদ অতিথি অগ্নি যেন আমাদের অনাদর না করেন।। (১১১) সম্যক্‌ পূজিত অগ্নি আমাদের জন্য কল্যাণকর হোন; হে শোভনধন অগ্নি, তোমার দান আমাদের কল্যাণ করুক; এই অহিংসিত যজ্ঞ কল্যাণময় হোক; আমাদের স্তুতি কল্যাণকর হোক; (১১২) হে অগ্নি, তুমি শ্রেষ্ঠ যাজ্ঞিক, দেবগণের দেব, তুমি হোতা, তুমি অমর; এই যজ্ঞের সুকর্মা তোমাকে আমরা বরণ করি।। (১১৩) হে অগ্নি, আমাদের সেই ধন দাও যে ধন গৃহে প্রবিষ্ট দুষ্ট বিধ্নকারীকে পরাভূত করে ও পাপবুদ্ধি ব্যক্তির ক্রোধ অভিভূত করে। (১১৪) জনগণের পালক তীক্ষ্ণ অগ্নি প্রীত হয়ে যখন গৃহে অবস্থান করেন তখন তিনি সকল বিঘ্ন সমূলে বিনাশ করেন।।
 

1 comment:

  1. দাদা নমস্কার,
    প্রথম অধ্যায়ঃ পুর্বার্চিকঃ ছন্দ আর্চিকঃ আগ্নেয় কান্ডঃ অগ্নিস্তুতি
    নবম ও দশম খন্ড ২বার পেস করা হয়েছে,দাদা একটু তা ঠিক করে দিন

    ReplyDelete