Friday, August 26, 2011

ঋগবেদ-সংহিতা : প্রথম মন্ডল : ৫ সূক্ত


ইন্দ্র দেবতাঃ। বিশ্বামিত্রের পুত্র মধুচ্ছন্দা ঋষি। গায়ত্রী ছন্দ।

সূক্ত - আ ত্বেতা নি ষীদতেন্দ্রমভি প্র গায়ত। সখায়ঃ স্তোমবাহসঃ।।১।।
অনুবাদ : ।।১।। হে স্তুতিবাদক সখাগণ! শীঘ্র এস, উপবেশন কর, ইন্দ্রকে লক্ষ্য করে গাও।

সূক্ত - পুরূতমং পুরূণামীশানং বার্যানাং। ইন্দ্রং সোমে সচা সুতে।।২।।
অনুবাদ : ।।২।। এ সোমরস অভিষুত হলে সকলে একত্র হয়ে বহু শত্রুর দমনকারী, বহু বরণীয় ধনের স্বামী ইন্দ্রকে লক্ষ্য করে গাও।

সূক্ত - স ঘা নো যোগ আ ভুতত্ স রাযে স পুরন্ধ্যাং। গমদ্বাজেভিরা স নঃ।।৩
অনুবাদ : ।।৩।। তিনি আমাদের উদ্দেশ্য সাধন করুন, তিনি ধন প্রদান করুন, তিনি স্ত্রী প্রদান করুন, তিনি অন্ন নিয়ে আমাদের নিকটে আগমন করুন।

সূক্ত - যন্য সংস্থে ন বৃন্বতে হরী সমৎসু শত্রবঃ। তস্মা ইন্দ্রায় গায়ত।।৪
অনুবাদ : ।।৪।। যুদ্ধে শত্রুরা যাঁর রথযুক্ত অশ্বদ্বয়ের সম্মুখীন হতে পারে না, সে ইন্দ্রকে লক্ষ্য করে গাও।

সূক্ত - সুতপাব্নে সুতা ইমে শুচয়ো যন্তি বীতয়ে। সোমাসো দধ্যাশিরঃ।।৫
অনুবাদ : ।।৫।। এ অভিষুত পবিত্র, দধিমিশ্রিত সোমরস সমূহ অভিষুত সোমপায়ীর পানার্থ তাঁর নিকট যাচ্ছে।  

সূক্ত - ত্বং সুতস্য পীতয়ে সদ্যো বৃদ্ধো অজায়থাঃ। ইন্দ্র জৈষ্ঠ্যায় সুক্রতো।।৬
অনুবাদ : ।।৬।। হে সুক্রতু ইন্দ্র! তুমি অভিষুত সোম পানের জন্য ও দেবগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠত্ব প্রাপ্তির জন্য একেবারেই বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছ।

সূক্ত - আ ত্বাঃ বিশন্ত্বাশবঃ সোমাস ইন্দ্র গির্বণঃ। শন্তে সন্তু প্রচেতসে।।৭
অনুবাদ : ।।৭।। হে স্তুতিভাজন ইন্দ্র! ব্যাপনশীল অর্থাৎ শীঘ্রমাদক সোমরস সমূহ তোমাতে প্রবেশ করুক, প্রকৃষ্ট জ্ঞানলাভে তোমার মঙ্গলকারী হোক।

সূক্ত - ত্বাং স্তোমা অবীবৃধন্ত্বামুক্ থা শতক্রতো। ত্বাং বর্ধন্তু নো গিরঃ।।৮
অনুবাদ : ।।৮।। হে শতক্রতু। স্তোম সমূহ তোমাকে বর্ধন করেছে, উক্ থ সমূহ তোমাকে বর্ধন করেছে, আমাদের স্তুতি তোমাকে বর্ধন করুক।

সূক্ত - অক্ষিতোতিঃ সনেদিমং বাজমিন্দ্রঃ সহস্রিণং। যস্মিন্বিশ্বানি পৌংস্যা।।৯
অনুবাদ : ।।৯।। ইন্দ্র রক্ষণে বিরত না হয়ে এ সহস্রসংখ্যক অন্ন গ্রহণ করুন, যে অন্নে সমস্ত পৌরুষ অবস্থিতি করে।

সূক্ত - মা নো মর্তা অভি দ্রুহন্তনূনামিন্দ্র গির্বণঃ। ঈশানো যবয়া বধম্।।১০
অনুবাদ : ।।১০।। হে স্তুতিভাজন ইন্দ্র! বিরোধী মনুষ্যেরা আমাদের শোরীরে যেন আঘাত না করে, তুমি ক্ষমতাশালী, আমাদের বধ নিবারণ কর।

1 comment:

  1. দাদা আপনি সায়নভাষ্য মতে অনুবাদ করছেন যাতে বেদ মন্ত্রের অন্তর্নিহিত অর্থ অস্পষ্ট। দয়া করে মহাঋষি দয়ানন্দ সরস্বতীজির অনুবাদ পড়ুন। পার্থক্য বুঝবেন ধন্যবাদ

    ReplyDelete