বায়ু প্রাভৃতি দেবতা। বিশ্বামিত্রের পুত্র মধুচ্ছন্দা ঋষি। গায়ত্রী ছন্দ।
সূক্ত - বায়বা যাহি দর্শতেমে সোমা অরংকৃতাঃ। তেষ্যং পাহি শ্রুধী হবম্।।১।।
অনুবাদ : ।।১।। হে দর্শনীয় বায়ু (১) এন, এ সোমরস সমূহ (২) অভিষুত হয়েছে; এ পান কর, আমাদের আহ্বান শ্রবণ কর।
সূক্ত - বায় উক্ থের্ভিজরন্তে ত্বামচ্ছা জরিতারঃ। সুতসোমা অহর্বিদঃ।।২।।
অনুবাদ : ।।২।। হে বায়ু! যজ্ঞাভিজ্ঞ স্তোতাগণ সোমরস অভিষুত করে তোমার উদ্দেশ্যে স্তুতিবাক্য প্রয়োগ স্তব করছে।
সূক্ত - বায়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতি দাশুষে। উরুচী সোমপীতয়ে।।৩
অনুবাদ : ।।৩।। হে বায়ু! তোমার সোমগুণপ্রকাশক বাক্য সোম পানার্থ হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে, অনেকের নিকট আসছে।
সূক্ত - ইন্দ্রবায়ু ইমে সুতা উপ প্রয়োভিরা গতম্। ইন্দবো বামুশন্তি হি।।৪
অনুবাদ : ।।৪।। হে ইন্দ্র (৩) ও বায়ু! এ সোমরস অভিষুত হয়েছে, অন্ন নিয়ে এস; সোমরস তোমাদের কামনা করছে।
সূক্ত - বায়বিন্দ্রশ্চ চেতথঃ সুতানাং বাজিনীবসু। তাবা যাতমুপ দ্রবৎ।।৫
অনুবাদ : ।।৫।। হে বায়ু ও ইন্দ্র! তোমরা অভিষুত সোমরস জান, তোমরা অন্নযুক্ত হব্যে বাস কর; শীঘ্র নিকটে এস।
সূক্ত - বায়বিন্দ্রশ্চ সুন্বত আ যাতমুপ নিশকৃতম্। মক্ষ্বিথা ধিয়া নরা।।৬
অনুবাদ : ।।৬।। হে বায়ু ও ইন্দ্র! অভিষবকারী যজমানের অভিষুত সোমরসের নিকটে এস; হে বীরদ্বয়! এ কাজ ত্বরায় সম্পন্ন হবে।
- মিত্রং হুবে পূতদষং বরুণং চ ভিশাদসম্। ধিয়ং ঘ্ররতাচয়ং সান্ধতা।।৭
অনুবাদ : ।।৭।। পবিত্রবল মিত্র ও হিংসকশত্রুনাশক বরুণকে (৪) আমি আহ্বান করি; তাঁরা ঘৃতাহুতি প্রদান রূপ কর্ম সাধন করেন।
সূক্ত - ঋতেন মিত্রাবরুণাবৃতাবৃধাবৃতস্পৃশা। ক্রতুং বৃহন্তমাশাথে।।৮
অনুবাদ : ।।৮।। হে যজ্ঞ বর্ধয়িতা যজ্ঞস্পর্শী মিত্র ও বরুণ! তোমরা যজ্ঞফল দানার্থ এ বৃহৎযজ্ঞে রয়েছ।
- কবী নো মিত্রাবরুণা তুবিজাতা উরুক্ষয়া। দক্ষং দধাতে অপসম্।।৯
অনুবাদ : ।।৯।। ইন্দ্র ও বরুণ মেধাসম্পন্ন, বহু লোকের হিতার্থে জাত ও বহু লোকের আশ্রয়ভূত; তাঁরা আমাদের বল ও কর্ম পোষণ করেন।
টীকাঃ-
১। বায়ুও আদিম আর্যগণের আরাধ্য দেব ছিলেন, সুতরাং সে জাতির ভিন্ন ভিন্ন শাখার মধ্যে পূজনীয় ছিলেন। প্রাচীন ইরানীয়দের 'অবস্থা' নামক জেন্দ ভাষায় লিখিত ধর্ম পুস্তকে 'বায়ু' দেবের উল্লেখ আছে। প্রথম সূক্তের প্রথম ঋকের টীকার যাস্কের নিরুক্ত হতে যে অংশ উদ্ধৃত হয়েছে তাতে প্রাচীন হিন্দুদের প্রধান দেবগণের মধ্যে বায়ুর নাম আছে।
২। সোমলতা পেষণ করলে দুগ্ধের ন্যায় শ্বেতবর্ণ এবং ঈষৎ অম্লরস নির্গত হয়, তাই মাদক অবস্থায় পরিণত করে পূর্বকালে যজ্ঞে ব্যবহৃত হত। প্রাচীন আর্যদের মধ্যে সোমরসের ব্যবহার ছিল, অতএব সে আর্য জাতির শাখা ইরানীদের মধ্যে সোমের ব্যবহার ও উপাসনা ছিল। তারা সোমকে 'হওমা বলতেন ও যজ্ঞে এর অভিষব দিতেন। বোধ হয় ইরাণীয় আর্যগণ সোমরস স্বাভাবিক অবস্থায় (unfermented) ব্যবহার করতেন এবং হিন্দু আর্যগণ সোমরস মাদক অবস্থায় (fermented) পান করতে ভাল বাসতেন এবং ঐ দুই আর্যজাতির বিবাদের এটি একটি কারণ।
৩। ভারতবর্ষে নদীর জল, ভূমির উর্বরতা, ধান ও খাদ্য দ্রব্য, মানুষের সুখ ও জীবন; সমস্তই বৃষ্টির উপর নির্ভর করে, অতএব বৃষ্টিদাতা আকাশদেব ইন্দ্রের গৌরব অধিক। তাঁর নাম যাস্ক হতে উদ্ধৃত সূত্রে আছে,এবং তাঁর সন্বন্ধে যত সূক্ত আছে, অন্য কোন দেব সন্বন্ধে তত নেই।
৪। মিত্র আর্যদিগের একজন উপাস্য দেবতা ছিলেন সুতরাং প্রাচীন হিন্দু ও ইরানীয় উভয় শাখার মধ্যে তাঁর অর্চনা দেখা যায়। ইরানীয়দের মধ্যে 'মিথ্র' আলোক বাঁ সূর্য বলে পূজিত হতেন, হিন্দুদের মধ্যে মিত্র আলোক বা দিবা বলে পূজিত হতেন। বরুণ আর্যদের আরও পুরান দেবতা। আবরণকারী (বৃ ধাতু হতে) নৈশ আকাশকেই আর্যগণ বরুণ বলে পূজা করতেন, এবং সে দেবকে গ্রীকগণ Uranos, ইরানীয়গণ 'বরণ' নামে জানেন। "মৈত্রং বৈ অহরিতি শ্রূতেঃ ** শ্রয়তে চ বারুণী রাত্রী।" - সায়ণ। আকাশ জলীয়, এ বিশ্বাস হতে অবশেষে বরুণ জলের দেব বলে পরিগণিত হলেন।
সূক্ত - বায়বা যাহি দর্শতেমে সোমা অরংকৃতাঃ। তেষ্যং পাহি শ্রুধী হবম্।।১।।
অনুবাদ : ।।১।। হে দর্শনীয় বায়ু (১) এন, এ সোমরস সমূহ (২) অভিষুত হয়েছে; এ পান কর, আমাদের আহ্বান শ্রবণ কর।
সূক্ত - বায় উক্ থের্ভিজরন্তে ত্বামচ্ছা জরিতারঃ। সুতসোমা অহর্বিদঃ।।২।।
অনুবাদ : ।।২।। হে বায়ু! যজ্ঞাভিজ্ঞ স্তোতাগণ সোমরস অভিষুত করে তোমার উদ্দেশ্যে স্তুতিবাক্য প্রয়োগ স্তব করছে।
সূক্ত - বায়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতি দাশুষে। উরুচী সোমপীতয়ে।।৩
অনুবাদ : ।।৩।। হে বায়ু! তোমার সোমগুণপ্রকাশক বাক্য সোম পানার্থ হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে, অনেকের নিকট আসছে।
সূক্ত - ইন্দ্রবায়ু ইমে সুতা উপ প্রয়োভিরা গতম্। ইন্দবো বামুশন্তি হি।।৪
অনুবাদ : ।।৪।। হে ইন্দ্র (৩) ও বায়ু! এ সোমরস অভিষুত হয়েছে, অন্ন নিয়ে এস; সোমরস তোমাদের কামনা করছে।
সূক্ত - বায়বিন্দ্রশ্চ চেতথঃ সুতানাং বাজিনীবসু। তাবা যাতমুপ দ্রবৎ।।৫
অনুবাদ : ।।৫।। হে বায়ু ও ইন্দ্র! তোমরা অভিষুত সোমরস জান, তোমরা অন্নযুক্ত হব্যে বাস কর; শীঘ্র নিকটে এস।
সূক্ত - বায়বিন্দ্রশ্চ সুন্বত আ যাতমুপ নিশকৃতম্। মক্ষ্বিথা ধিয়া নরা।।৬
অনুবাদ : ।।৬।। হে বায়ু ও ইন্দ্র! অভিষবকারী যজমানের অভিষুত সোমরসের নিকটে এস; হে বীরদ্বয়! এ কাজ ত্বরায় সম্পন্ন হবে।
- মিত্রং হুবে পূতদষং বরুণং চ ভিশাদসম্। ধিয়ং ঘ্ররতাচয়ং সান্ধতা।।৭
অনুবাদ : ।।৭।। পবিত্রবল মিত্র ও হিংসকশত্রুনাশক বরুণকে (৪) আমি আহ্বান করি; তাঁরা ঘৃতাহুতি প্রদান রূপ কর্ম সাধন করেন।
সূক্ত - ঋতেন মিত্রাবরুণাবৃতাবৃধাবৃতস্পৃশা। ক্রতুং বৃহন্তমাশাথে।।৮
অনুবাদ : ।।৮।। হে যজ্ঞ বর্ধয়িতা যজ্ঞস্পর্শী মিত্র ও বরুণ! তোমরা যজ্ঞফল দানার্থ এ বৃহৎযজ্ঞে রয়েছ।
- কবী নো মিত্রাবরুণা তুবিজাতা উরুক্ষয়া। দক্ষং দধাতে অপসম্।।৯
অনুবাদ : ।।৯।। ইন্দ্র ও বরুণ মেধাসম্পন্ন, বহু লোকের হিতার্থে জাত ও বহু লোকের আশ্রয়ভূত; তাঁরা আমাদের বল ও কর্ম পোষণ করেন।
টীকাঃ-
১। বায়ুও আদিম আর্যগণের আরাধ্য দেব ছিলেন, সুতরাং সে জাতির ভিন্ন ভিন্ন শাখার মধ্যে পূজনীয় ছিলেন। প্রাচীন ইরানীয়দের 'অবস্থা' নামক জেন্দ ভাষায় লিখিত ধর্ম পুস্তকে 'বায়ু' দেবের উল্লেখ আছে। প্রথম সূক্তের প্রথম ঋকের টীকার যাস্কের নিরুক্ত হতে যে অংশ উদ্ধৃত হয়েছে তাতে প্রাচীন হিন্দুদের প্রধান দেবগণের মধ্যে বায়ুর নাম আছে।
২। সোমলতা পেষণ করলে দুগ্ধের ন্যায় শ্বেতবর্ণ এবং ঈষৎ অম্লরস নির্গত হয়, তাই মাদক অবস্থায় পরিণত করে পূর্বকালে যজ্ঞে ব্যবহৃত হত। প্রাচীন আর্যদের মধ্যে সোমরসের ব্যবহার ছিল, অতএব সে আর্য জাতির শাখা ইরানীদের মধ্যে সোমের ব্যবহার ও উপাসনা ছিল। তারা সোমকে 'হওমা বলতেন ও যজ্ঞে এর অভিষব দিতেন। বোধ হয় ইরাণীয় আর্যগণ সোমরস স্বাভাবিক অবস্থায় (unfermented) ব্যবহার করতেন এবং হিন্দু আর্যগণ সোমরস মাদক অবস্থায় (fermented) পান করতে ভাল বাসতেন এবং ঐ দুই আর্যজাতির বিবাদের এটি একটি কারণ।
৩। ভারতবর্ষে নদীর জল, ভূমির উর্বরতা, ধান ও খাদ্য দ্রব্য, মানুষের সুখ ও জীবন; সমস্তই বৃষ্টির উপর নির্ভর করে, অতএব বৃষ্টিদাতা আকাশদেব ইন্দ্রের গৌরব অধিক। তাঁর নাম যাস্ক হতে উদ্ধৃত সূত্রে আছে,এবং তাঁর সন্বন্ধে যত সূক্ত আছে, অন্য কোন দেব সন্বন্ধে তত নেই।
৪। মিত্র আর্যদিগের একজন উপাস্য দেবতা ছিলেন সুতরাং প্রাচীন হিন্দু ও ইরানীয় উভয় শাখার মধ্যে তাঁর অর্চনা দেখা যায়। ইরানীয়দের মধ্যে 'মিথ্র' আলোক বাঁ সূর্য বলে পূজিত হতেন, হিন্দুদের মধ্যে মিত্র আলোক বা দিবা বলে পূজিত হতেন। বরুণ আর্যদের আরও পুরান দেবতা। আবরণকারী (বৃ ধাতু হতে) নৈশ আকাশকেই আর্যগণ বরুণ বলে পূজা করতেন, এবং সে দেবকে গ্রীকগণ Uranos, ইরানীয়গণ 'বরণ' নামে জানেন। "মৈত্রং বৈ অহরিতি শ্রূতেঃ ** শ্রয়তে চ বারুণী রাত্রী।" - সায়ণ। আকাশ জলীয়, এ বিশ্বাস হতে অবশেষে বরুণ জলের দেব বলে পরিগণিত হলেন।
প্রথম সূক্তের প্রথম ঋকের টীকার যাস্কের নিরুক্ত হতে যে অংশ উদ্ধৃত হয়েছে তাতে প্রাচীন হিন্দুদের প্রধান দেবগণের মধ্যে বায়ুর নাম আছে।
ReplyDeleteWhere you find this?who translet nirukta?
Ans.Missionaries,how pathetic translation,?
वायवा याहि दर्शतेमे सोमा अरंक्र्ताः |
तेषां पाहि शरुधी हवम ||
वाय उक्थेभिर्जरन्ते तवामछा जरितारः |
सुतसोमा अहर्विदः ||
वायो तव परप्र्ञ्चती धेना जिगाति दाशुषे |
उरूची सोमपीतये ||
इन्द्रवायू इमे सुता उप परयोभिरा गतम |
इन्दवो वामुशन्ति हि ||
वायविन्द्रश्च चेतथः सुतानां वाजिनीवसू |
तावा यातमुप दरवत ||
वायविन्द्रश्च सुन्वत आ यातमुप निष्क्र्तम |
मक्ष्वित्था धिया नरा ||
मित्रं हुवे पूतदक्षं वरुणं च रिशादसम |
धियं घर्ताचीं साधन्ता ||
रतेन मित्रावरुणाव रताव्र्धाव रतस्प्र्शा |
करतुं बर्हन्तमाशाथे ||
कवी नो मित्रावरुणा तुविजाता उरुक्षया |
दक्षं दधाते अपसम ||
WHO IS VYAU?
READ THIS:-
तवमग्ने राजा वरुणो धर्तव्रतस्त्वं मित्रो भवसि दस्म ईड्यः |
तवमर्यमा सत्पतिर्यस्य सम्भुजं तवमंशो विदथे देव भाजयुः || -RUgveda 2.1.4
TRANSLATION:-
O Agni, you are king Varuna, the upholder of all laws; you are to be adored as Mitra who accomplishes wonderful acts; you are Aryaman, the Lord of the discernible world, whose liberality is enjoyed by all; O God Agni, you are Amsa, who is ever eager to grant favors at the sacrifice.
So before making vid translation have some commonsense.
All the slanders heaped upon the Vedas can be attributed mainly to the interpretations of commentaries written by Mahidhar, Uvat and Saayan in the medieval times; and to what Vam-margis or the Tantra cult propagated in their books in the name of the Vedas.
In due course the falsehood spread far and wide and they became even more deep rooted when western scholars with their half baked knowledge of Sanskrit transliterated (and not translated from the original text) these interpretations of commentaries of Sayan and Mahidhar, in the name of translating the Vedas.